তৃণমূল নেতাকে ভরা রাস্তায় একের পর এক কোপ! কোন্নগরে রক্তারক্তি

তৃণমূল নেতাকে ভরা রাস্তায় একের পর এক কোপ! কোন্নগরে রক্তারক্তি

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সুমন করাতি, হুগলি: ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। ভরসন্ধেয় প্রকাশ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে ধারালো অস্ত্রের কোপ। এই ঘটনায় কোন্নগর কানাইপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল নেতাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

নিহত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্না। কানাইপুর অটোস্ট্যান্ডে তাঁর গ্যাসের অফিস রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো বুধবার অফিস থেকে বাড়ির যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয়। তাদের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ক্ষতবিক্ষত শরীরে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। হতচকিত হয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।

খবর পেয়ে কানাইপুর ফাঁড়ি এবং উত্তরপাড়া থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে যান ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাসও। ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে প্রথমে কানাইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জখন তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী কানাইপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিও। তাঁর উপর এমন আক্রমণে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শিবচন্দ্র দে বলেন, “সন্ধেয় নিজের অফিসের সামনে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন পিন্টু চক্রবর্তী। তাঁর একটা হাত কেটে পড়ে যায়। এই ঘটনায় আমরা ব্যবসায়ীরা ভয়ে রয়েছি।” ব্যবসায়িক নাকি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতার উপর হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারাই বা এই ঘটনায় যুক্ত, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *