ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিরলের চেয়েও বিরলতম! তামিলনাড়ুর সৈকতে বিরল সামুদ্রিক কৃমির সন্ধান পেলেন জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা। নেতৃত্বে দুই মহিলা গবেষক। তাঁদের নেতৃত্বে একটি দল গবেষণা করে জানতে পেরেছেন, তামিলনাড়ুর সৈকতে কৃমির অস্তিত্ব রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এনিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে এধরনের পরজীবীর সন্ধান মিলল। আর তা প্রমাণ করে, ওই এলাকার সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র এবং জীববৈচিত্র্য যথেষ্ট সুস্থ। বলা হচ্ছে, এই কৃমির আবিষ্কার দক্ষিণ ভারতের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে দিল।
জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বর্ষীয়ান গবেষক ডক্টর অঞ্জুম রিজভি এবং আরেক গবেষক রীতিকা দত্তের নেতৃত্বাধীন একটি দল ওই বিরল প্রজাতির কৃমির সন্ধান পান। এর আগে ১৯৬৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৫ সালে চিন এবং ২০২৩ সালে কোরিয়ার একই ধরনের বিরল কৃমির অস্তিত্ব মিলেছিল। বিজ্ঞানীদের সম্মান জানাতে এর নামকরণ করা হয় ‘ফেরোনস জাইরাজপুরী দত্ত অ্যান্ড রিজভি, ২০২৫’। জানা গিয়েছে, ভারতের বিখ্যাত কৃমি বিশেষজ্ঞ এমএস জয়রাজপুরীর নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে নতুন এই প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর নামকরণে। বলা হচ্ছে, সমুদ্রের জলে মিশে থাকা এধরনের পরজীবীরা উপকূল এলাকার সুস্থ বাস্তুতন্ত্রেরই ইঙ্গিত।
ZSI-এর বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ”দেশের বিস্তৃত উপকূলীয় অঞ্চলে আসলে কোন কোন রহস্য লুকিয়ে, এই কৃমির আবিষ্কার তারই একটা ধাপ। এটা শুধু যে বিশ্বের সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি, তা নয়। আমাদের পরিবেশের নিত্যনতুন বৈচিত্র্যও এর দ্বারা আরও স্পষ্ট হতে চলেছে। এধরনের প্রতিটি আবিষ্কার আমাদের আরও জলভাগের পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়ার দিক নির্দেশ করে।” আর তামিলনাডুতে এই কৃমির অস্তিত্ব আরও একটি রেকর্ড তৈরি করল। দক্ষিণ আফ্রিকা, চিন এবং কোরিয়ার পর এই বিরল সামুদ্রিক জীবের বাসস্থান হিসেবে চতুর্থ স্থান হল ভারতের।