সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার শুল্ক হুমকির আবহে কাছাকাছি আসছে ভারত-চিন! সোমবার দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত মিলেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই বৈঠকের পরই তাইওয়ান ইস্যুতে ভারতের অবস্থান বদল হয়েছে বলে দাবি করেছিল বেজিং। কিন্তু নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিল, তাইওয়ান নিয়ে ভারতের অবস্থান বদলায়নি।
জয়শংকর-ওয়াং ই-র বৈঠকের পর চিনের তরফে বিবৃতি জারি করে দাবি করা হয়, ভারত বেজিংয়ের ‘ওয়ান চায়না’ নীতি অর্থাৎ ‘এক চিন’ নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাইওয়ান যে পৃথক রাষ্ট্র নয়, সেটি যে চিনেরই অংশ, তাও মেনেছে নয়াদিল্লি। চিনের ওই বিবৃতিতে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় কূটনৈতিক মহলে। যদিও চিনের ওই বিবৃতির পালটা দিয়েছে নয়াদিল্লিও। বিদেশমন্ত্রকের সূত্র বলছে, ভারতের চিন বা তাইওয়ান নীতিতে কোনওরকম বদল আসেনি। তাইওয়ানের ক্ষেত্রে আগের মতো নীতিই অনুসরণ করবে নয়াদিল্লি।
আসলে স্বাধীন তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয় না বেজিং। আলাদা করে তাইওয়ানের সরকারকে ভারতও স্বীকৃতি দেয় না। সরকারিভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই ভারত-তাইওয়ানের। তবে দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে নয়াদিল্লির যোগাযোগ রয়েছে বেসরকারিভাবে তৃতীয় শক্তির মাধ্যমে। গত দেড় দশক ধরেই ভারত চিনের ‘এক চিন’ নীতির প্রশঙ্গ কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছে। এক চিন নীতির কথা কোনও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখও করা হয় না। আবার ওই নীতির বিরুদ্ধেও সরাসরি কোনও বিবৃতি দেয়নি নয়াদিল্লি। কী এই ‘এক চিন নীতি’? ওই নীতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বে একমাত্র একটাই চিন। তাইওয়ান চিনেরই অংশ। এবং চিনের সরকারই সমগ্র চিনের আইনি প্রশাসক। যদিও এই বশ্যতা স্বীকার করতে রাজি নয় বলেই বার বার জানিয়েছে তাইওয়ান।