সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ওই যুবক। ইরানের উচ্চ আদালতের নির্দেশে এবার তাঁকে প্রকাশ্যে ফাঁসির সাজা দেওয়া হল। শনিবার তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
ঘটনাটি বেশ কয়েকমাস আগের। ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বুকান এলাকায় এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনে অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ এবং জনরোষও দেখা যায়। বেশ কিছুদিন মামলা চলার পর অবশেষে গত মার্চ মাসে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হোক। সেই দাবি মেনে তাঁকে ফাঁসির সাজা দেন বিচারক। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই যুবকের পরিবার। তারপরই সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তা ফের কার্যকর হয়। সেই মতো শনিবার যুবককে প্রকাশ্যে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ইরানে প্রকাশ্যে ফাঁসির সাজা নতুন কোনও বিষয় নয়। এর আগেও এরকম একাধিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে দেশটির আইনে। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালে ইরানে অন্তত ৯৭৫ জনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্য়ে ৩১ জন ছিলেন মহিলা।