অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: তন্ত্র শেখানোর নামে গৃহবধূর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ! পরিণতি হল ভয়ংকর। ঘর থেকে উদ্ধার বধূর দেহ। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার মলিঘাটিতে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার মলিঘাটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের চককৃপান গ্রামের বাসিন্দা ওই বধূ। স্বামী কর্মসূত্রে থাকেন ভিনরাজ্যে। সূত্রের খবর, গৃহবধূ তন্ত্রের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ভবানীপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের পাটনা গ্রামের বাসিন্দা তান্ত্রিক সঞ্জয় অধিকারী কাছে যান। অভিযোগ, প্রশিক্ষনের নামে তাঁর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে সঞ্জয়। তাতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মহিলা।
এরপরই বেশ কিছুদিনের জন্য বাপের বাড়ি চলে যান বধূ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। মৃতার স্বামীর অভিযোগ, অপমান-অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। মৃতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে তান্ত্রিক সঞ্জয় অধিকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডেবরা থানার পুলিশ। ধৃতকে সোমবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে। তবে মৃতার স্বামীর করা অভিযোগ সত্য কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।