সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতে পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত! সেই অভিযানে একদিকে সে দেশের মাটিতে ঢুকে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে পাক বায়ুসেনার অন্যতম ঘাঁটি নূর খান এয়ারবেসও ছিল ভারতের অন্যতম টার্গেট। ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সেখানে। সেই তথ্য় তুলে ধরেছিল ভারতীয় সেনা।
এই বিষয়ে ইসলামাবাদ স্বীকার না করলেও উপগ্রহ চিত্রের স্পষ্ট ক্ষয়ক্ষতির ছবি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ এই নূর খান ঘাঁটি বন্ধ ছিল। তবে নতুন করে সেই ঘাঁটিকে সাজিয়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছে পাক সরকার । ম্যাক্সারের উপগ্রহ চিত্র সামনে এনে দাবি এনডিটিভির।
পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাক ঘাঁটি এই নূর খান। এই ঘাঁটি ইলামাবাদ থেকে মাত্র ২৫ কিমি দূরেই অবস্থিত। ফলে রণকৌশলগত দিক থেকেও এই পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুর অভিযানে পরবর্তীতে সেই ঘাঁটিকেই টার্গেট করে ভারত। ব্যবহার করা হয় ব্রহ্মস মিসাইল। এই মিসাইলের আঘাতে ভেঙে যায় পাক বায়ুসেনার মেরুদণ্ড। হামলা পরবর্তীতে যে স্যাটেলাইট ছবি সামনে আসে, তাতে স্পষ্ট দেখা যায় যে নূর খান এয়ারবেসের রানওয়েতে বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। এমনকী আশেপাশের একাধিক বাড়িতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখানেই শেষ নয়! সেই ‘লজ্জা’ ঢাকতে বড় বড় কাপড় দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিকে ঢেকে দেওয়া হয়। সেই ছবিও ধরা পড়ে স্যাটেলাইট ইমেজে।
সম্প্রতি স্যাটেলাইট ইমেজ পর্যালোচনা করে জিও ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ডামিইন সাইমন সংবাদভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”গত মে মাসে নূর খান এয়ারবেসের যে জায়গাগুলিকে ভারত টার্গেট করে ভারত, সেখানে কাজ শুরু হয়েছে।” ভারত বিমানঘাঁটি ছাড়াও সামরিম যানবাহন সহ বেশ কয়েকটি ভবনকেও টার্গেট করে।
ওই বিশেষজ্ঞের কথায়, প্রত্যাঘাতের কয়েকদিনের মাথাতেই সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ভেঙে ফেলা হয়। সেই সমস্ত জায়গায় নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি ডামিইন সাইমনের। তাঁর এহেন বক্তব্যের যুক্তি হিসাবে স্যাটেলাইট ইমেজ তুলে ধরেছেন। পাক আর্মির হেডকোয়ার্টারের নূর খান এয়ারবেস কৌশলগতভাবেও পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নতুন নির্মাণ গড়ে উঠছে। তৈরি হচ্ছে দেওয়াল। যে অংশ ভারতের প্রত্যাঘাতে ভেঙে পড়েছিল, সেগুলিও আবার মাথা তুলছে।