ঢাকা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে কোরানের ক্লাস! তসলিমা লিখলেন, ‘এভাবেই জেগে উঠুক জম্বিদের জগত’

ঢাকা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে কোরানের ক্লাস! তসলিমা লিখলেন, ‘এভাবেই জেগে উঠুক জম্বিদের জগত’

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নতুন’ বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দাপাদাপি বেড়েই চলেছে। বারবারই তার প্রমাণ মিলছে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে হচ্ছে কোরানের ক্লাস! যা নিয়ে এবার ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখিকা তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘এভাবেই জেগে উঠুক জম্বিদের জগত।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্য়ালয় বহু ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, সব কিছুরই প্রাণকেন্দ্র এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বদা বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, সাহিত্য়, দর্শন নিয়ে চর্চা হয় যেখানে, সেখানেই আজ নিয়ম করে কোরানের পাঠ হচ্ছে। এভাবেই বদলের বাংলাদেশকে গিলে খাচ্ছে মৌলবাদীরা। 

আজ শুক্রবার তসলিমা ফেসবুকে লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-মাদ্রাসায় কোরান হাদিসের ক্লাস হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে হবে। বিজ্ঞান ভুলে যাক ছাত্ররা। অলৌকিকতার চর্চা হতে থাকুক। রূপকথায় ছাত্ররা বুঁদ হতে থাকুক। বিজ্ঞান বিবর্তন মিথ্যে হতে থাকুক। আদম হাওয়ার মিথ্যে গল্প সত্যি হতে থাকুক। জান্নাত আর জাহান্নামের কিচ্ছা সত্যি হতে থাকুক। মিথ্যে আর মিথে ছাত্ররা হাবুডুবু খেতে থাকুক। হুরপরীর টোপ গিলতে থাকুক। সত্যকে কবর দিয়ে দিক। বিজ্ঞানকে ডুবিয়ে দিক। এভাবেই জেগে উঠুক জম্বিদের জগত। এভাবেই জেগে উঠেছে জম্বিদের জগত।’

https://www.fb.com/nasreen.taslima/posts/pfbid0342f1VN81AaDzUiMyrtZW1SYaqZCdgvEUpH8J1jcLNnSLgVksdmDLtp8Am6SnguUCl

প্রসঙ্গত, জুলাই ও আগস্ট মাসের ‘গণঅভ্যুত্থানে’ শহিদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাঁকজমকপূর্ণ কাওয়ালি গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই আসরে সিলসিলা এবং ক্বাসীদা ব্যান্ড কাওয়ালি পরিবেশন করেছিল। আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের প্রাক্কালেও এর অন্যথা হয়নি। শোনা গিয়েছে সেই কাওয়ালি গানই। গত বছরের ৫ আগস্ট যেভাবে ‘হাসিনা হঠাও অভিযানে’ নেমেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তখনই খানিক আঁচ করা গিয়েছিল আগামীর বাংলাদেশ কী রূপ নিতে চলেছে। এই মুহূর্তে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার, লাগাতার মন্দিরে ভাঙচুর, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বললেই শাস্তি তারই প্রমাণ। বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন থেকে, জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’র বদলের দাবি উঠছে প্রতিনিয়ত। মুছে ফেলার চেষ্টা চলছ রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে। এখন পাঠ্যবইতে জায়গা পাচ্ছে উর্দু, আরবি ভাষাও।

শেখ হাসিনার পতন, ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ। এরপর থেকেই বাংলাদেশে জারি রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার প্রক্রিয়া। মৌলবাদীদের অঙ্গুলিহেলনে ‘বিপ্লবী’ ছাত্রদের হাত থেকে রেহাই পায়নি নারায়ণগঞ্জের বায়তুল আমান ভবন। ইতিহাস বলে, বাহান্নর ভাষা আন্দলনের সূচনা হয়েছিল এই বাড়ি থেকেই। মৌলবাদীরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজরিত ৩২ ধানমন্ডির বাড়িও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *