সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে বাংলাদেশে। গত বুধবার ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে। তারপর থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। ঘটনায় আঙুল উঠেছে বিএনপির যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের দিকে। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই।
ইতিমধ্যেই একটি মামলা রুজু হয়েছে ঢাকার আদালতে। প্রয়াত লালচাঁদের বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, গত বুধবার ব্যস্ত সড়কেই আক্রান্ত হন লালচাঁদ। তাঁকে অকথ্য মারধর করা হয়। তারপর ইট মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। থেঁতলে দেওয়া হয় শরীরের নানা অংশ। খুলে দেওয়া হয় পোশাক। এমনকী তাঁর শরীরের উপরে উঠে কোনও অভিযুক্ত লাফাতে থাকে বলেও অভিযোগ! এই পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে।
https://www.fb.com/Dr.Asifnazrul/posts/pfbid0SuLrB45bhtjmhR1sm5DMAQb757VUqEvjGvrQ8fTWruX5Xkvs7cuimZexJ7ebgGN4l
কিন্তু কেন খুন হতে হল লালচাঁদকে? সূত্রের দাবি, লালচাঁদের খুনের নেপথ্যে রয়েছে চাঁদার জুলুম। একসময় লালচাঁদ বিএনপির যুবদলের সদস্য ছিলেন বলেই দাবি। কিন্তু তাঁর প্রাক্তন দলীয় সদস্যদের হাতেই তাঁকে খুন হতে হল বলে জানা গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও কুড়িজন অজ্ঞাতপরিচয়ের নামও যুক্ত করা হয়েছে। এদিকে যুবদল থেকে দু’জন এবং ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে দু’জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের নাম অভিযোগপত্রে রয়েছে।