নিজস্ব সংবাদদাতা, ফালাকাটা: হাঁস ও মুরগি ছাড়াই ডিম ফুটে ছানা হবে ২০ থেকে ২৮ দিনে! এমনই এক মেশিন তৈরি করে তাক লাগালেন ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ডালিমপুরের মিঠুন বর্মন। নিজের তৈরি ওই যন্ত্রে পরীক্ষামূলকভাবে হাঁস, মুরগির ডিম ফুটিয়ে ছানা তৈরিতেও সফল হয়েছেন ওই যুবক। এই কাজ করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখিয়েছেন মিঠুন। হাসি ফুটেছে গোটা পরিবারের মুখে।
জানা গিয়েছে, একটা সময় কেবল অপারেটরের কাজ করতেন মিঠুন। সংসারে অভাব অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। হঠাৎ একদিন ওই যন্ত্রপাতি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে নিজেই বানিয়ে ফেলেন বিশাল মাপের একটি হিটার। তার সাহায্যেই দেশি হাঁস, মুরগির পাশাপাশি কড়কনাথ, রাজহাঁস, খাকি ক্যাম্পবেল, আরআইআর-সহ বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস ও মুরগির ডিম ফুটিয়ে সহজেই ছানা তৈরি করছেন ওই যুবক। বর্তমানে বহু মানুষ মিঠুন বর্মনের বাড়ি থেকে হাঁস ও মুরগির বাচ্চা নিয়ে প্রতিপালন করছেন।
মিঠুন জানান, “সামান্য কিছু জিনিসপত্রের সাহায্যে ডিম ফোটানোর যন্ত্রটি তৈরি করেছি। এই মেশিনে রাখা হাঁস ও মুরগির ডিম ২০ থেকে ২৮ দিনের মাথায় ফুটে ছানা বের হয়। এই কাজ করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় হয়।” তিনি আরও জানান, এই কাজে তাঁর স্ত্রী দারুন ভাবে সাহায্য করেন। তবে প্রশাসনিক স্তরে সহযোগিতা পেলে এই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে দাবি মিঠুনের। এবিষয়ে জটেশ্বর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অর্ণব ঘোষ বলেন, “এই উদ্যোগের কথা শুনেছি। ওই যুবককে সহযোগিতার বিষয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে আলোচনা হবে।”