ডিমের টানেই দীর্ঘ পথ পাড়ি! ফের পাথরপ্রতিমার সেই পুকুর থেকে উদ্ধার বিশালাকার কুমির

ডিমের টানেই দীর্ঘ পথ পাড়ি! ফের পাথরপ্রতিমার সেই পুকুর থেকে উদ্ধার বিশালাকার কুমির

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: একমাস সময়ের ব্যবধানে ফের লোকালয়ের পুকুরে কুমির। সোমবার কুমিরটিকে দেখতে পেয়ে পরে জালবন্দি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুর এলাকায়। প্রসঙ্গত, ওই পুকুরের এলাকায় একমাস আগেও একটি কুমিরকে জালবন্দি করা হয়েছিল। সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৪০টি কুমিরের ডিম। কুমিরটিকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল নদীতে। ডিমের টানে সেই কুমিরটিই কি আবার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ওই পুকুরে হাজির হল? এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও বনকর্মীদের মধ্যে।

উল্লেখ্য, বনদপ্তর এই নিয়ে বিগত প্রায় একমাসের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় একই পুকুর থেকে জালবন্দি করল একই ধরনের দু’টি স্ত্রী কুমির। আর তাতেই এমন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে বনাধিকারিকদের মুখে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের ব্রজবল্লভপুর এলাকায় ছোট রাক্ষসখালি গ্রামে জগদ্দল নদীর বাঁধের পাশেই ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পেশায় কৃষক হরিহর বেরার বাড়ি। তাঁর পুকুরে সোমবার বিকেলে হাত-পা ধুতে নেমেছিলেন কয়েকজন। পুকুরে একটি কুমিরকে ভাসতে দেখে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। রামগঙ্গা রেঞ্জের পাথরপ্রতিমা বনদপ্তরের কর্মীরা এসে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সন্ধ্যা নাগাদ জালবন্দি করে ফেলেন বড়সড় সেই কুমিরটিকে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে পরপর দু’বার একই পুকুরে কুমির ধরা পড়ায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

গত প্রায় একমাস আগেই ১ জুন এই হরিহর বেরার পুকুরেই ধরা পড়েছিল একটি স্ত্রী কুমির। পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয়েছিল কুমিরের ডিমও। রামগংগা রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার কবীর হোসেন জানান, এক মাসে জালবন্দি হওয়া দু’টি কুমিরই স্ত্রী কুমির এবং দু’টি কুমিরের দৈর্ঘ্যও এক। গতবার কুমিরটিকে ছাড়া হয়েছিল কলস দ্বীপের কাছে। পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৪০ টি কুমিরের ডিমও। অনুমান করা হচ্ছে, সেই ডিমের টানেই সুদূর কলস দ্বীপ থেকে নদী পেরিয়ে ওই স্ত্রী কুমিরটিই পথ চিনে ফের এসেছিল ওই পুকুরে। তিনি জানান, সোমবার ধরা পড়া স্ত্রী কুমিরটিকে সারারাত বনদপ্তরের ক্যাম্পে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সেটিকে ফের কলস দ্বীপের এক প্রান্তে কিংবা চুলকাটির জঙ্গলের দিকে নিয়ে গিয়ে নদীতে ছাড়া হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *