মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বুধবারের পর বৃহস্পতিবার ফের জল ছাড়ে ডিভিসি। যার জেরে জলস্তর বেড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন নদ-নদীর। সেই জলের তোড়ে ভেসে গেল মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর থাকা হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের বাঁশের দু’টি সেতু। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হাওড়ার থাকা দুটি বাঁশের সেতু ভেঙে যায়। যার জেরে ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান ও ভাটোরা পঞ্চায়েত এলাকা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাওড়ার মূল ভূখণ্ড থেকে। বিপাকে পড়েছেন দুই পঞ্চায়েত এলাকায় বসাবাসকারী প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। ঘাট কর্তৃপক্ষ আপাতত ইঞ্জিন চালিত নৌকা চালাচ্ছেন। তাতেই পারাপার শুরু হয়েছে।
তিনদিন লাগাতার বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন নদ-নদীর জলস্তর আগে থেকে বেড়েছে। এই অবস্থায় ফের জল ছাড়ে ডিভিসি। জলের তোড়ে প্রথমে ভেঙে যায় হুগলির হায়াতপুর এলাকার একটি বাঁশের সেতু। সেই সেতুর অংশ এসে দ্বীপাঞ্চলের উত্তর ভাটোরার গায়েন পাড়া এলাকায় বাঁশের সেতুতে ধাক্কা মারে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যায় গায়েন পাড়ার বাঁশের সেতুটি। এবং ভেসে যায় আসে কুলিয়ার দিকে। বিষয়টি জেনেই কুলিয়া এলাকায় যে বাঁশের সেতু রয়েছে সেই বাঁশের সেতু কর্তৃপক্ষ নদীতে নৌকা নামিয়ে সেই অংশ বেঁধে দেয়।
কুলিয়ার বাঁশের সেতু কর্তৃপক্ষের তরফে বাপি মল্লিক অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “কুলিয়াতেই পাকা সেতু তৈরির কাজ চলছে। বর্ষার জন্য কাজ বন্ধ রাখার জন্য ওই সংস্থা তাদের লোহার সেতু খুলে নিচ্ছে। কিন্তু সেগুলোকে ঠিকঠাক করে বেঁধে রাখেনি। জলের তোড়ে সেই অংশ কুলিয়ায় আমাদের বাঁশের সেতুতে লাগে এবং তারপর তা ভেঙে যায়।” এদিকে এই দুটি বাঁশের সেতু ভেঙে যাওয়ায় আজানগাছি এলাকায় একটি বাঁশের সেতু রয়েছে। সেই সেতু কর্তৃপক্ষ খুলে নিচ্ছে। যাতে সেতু ভেঙে গিয়ে বড় ক্ষতির মুখে না পড়তে হয়।
ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অশোক গায়েন এবং ঘোড়াবাড়িয়া চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা বেগম জানান, আপাতত মানুষের কথা ভেবে আমরা ওখানে যন্ত্রচালিত নৌকা চালু করেছি। কিন্তু সেতুগুলো ভেঙে যায় মানুষ প্রচণ্ড সমস্যার মুখে পড়েছে। এই দুই পঞ্চায়েত মিলিয়ে ৬০ হাজার মানুষের বসাবাস। তাই দ্বীপাঞ্চলের মানুষের দাবি যত দ্রুত সম্ভব পাকা সেতুটির কাজ সম্পূর্ণ করা হোক।