সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ড সিরিজে ডিউক বল নিয়ে কম ডামাডোল চলছে না। বলের মান নিয়ে বহুবার অভিযোগ জানিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক শুভমান গিলের সঙ্গে এ বিষয়ে আম্পায়ারদের তর্ক পর্যন্ত হয়েছে। বলের আকার কেনই বা দ্রুত বদলে যাচ্ছে? এ ব্যাপারে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। ডিউক কোম্পানির প্রধান দিলীপ জাজোদিয়া জানিয়েছেন, বলের মান ঠিক রাখা না যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে এক প্রজাতির গরুর অভাব। আর বল নির্মাণকারী সংস্থার মালিকের মন্তব্যের পর অনেকেই বলছেন, বল নিয়ে কিছুটা হলেও সুর নরম করেছেন তিনি।
গরুর এই প্রজাতির নাম ‘অ্যাঙ্গাস হাইটস’। এই বিশেষ প্রজাতির গরুর চামড়ার উপর ক্রিকেট বলের মান কতটা উন্নত, সেটা নির্ভর করে। এমনিতেও এই প্রজাতির গরুর চামড়া শক্তপোক্ত হয় স্কটিশ এবং আইরিশ ঘাস খেয়ে। সেই কারণেই তার পিঠের দিকের চামড়া দিয়ে সবচেয়ে ভালো বল তৈরি করা হয়। তাহলে কি সেই প্রজাতির গরুর শরীরের বাকি অংশের চামড়া দিয়ে বল তৈরি করা যায় না? উত্তর হল, যায়। কিন্তু সেই চামড়া থেকে একটু কম উন্নত মানের বল নির্মিত হয়। ঘটনাচক্রে এই প্রজাতির গরু এখন ভালোভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।
দিলীপ জাজোদিয়ার কথায়, “অনেক গোশালাই এখন বন্ধ। চামড়ার কারখানায় যে চামড়া আসে, তা অন্য প্রজাতির গরুর। ভাগ্য ভালো থাকলেই কেবল অ্যাঙ্গাস প্রজাতির চামড়া পাওয়া যায়। অন্য প্রজাতির গরুর চামড়া অত মোটাও নয়। তাছাড়াও এই সময় যা কাঁচামাল আসে, তা অতীতের দিনগুলি থেকে আলাদা। তাই আলাদা প্রজাতির গরুর চামড়া যে কখনও সমান হয় না, সেটা মনে রাখতে হবে।”
তাঁর সংযোজন, “ক্রিকেট বল তো মানুষই তৈরি করে। তাই বলের মধ্যে ভিন্নতা থেকে যেতে পারে। একটাই বলে গোটা দিন খেলা হয়। কিছু ঘণ্টা পরএ বলের আকারের যে খুব বেশি বদল হয় না, সেটাই আশ্চর্যের ব্যাপার। আমাদের সমস্ত বিষয় নজরে রয়েছে। তবে, হঠাৎ করে বলের মান বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। যদি কিছু ভুল হয়, তাহলে পরেরবার শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করব।” ডিউক বলের প্রধানের এমন মন্তব্যের পর অনেকেই বলছেন, তাহলে কি চাপের মুখে সুর নরম করলেন তিনি?
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন আগে টিম ইন্ডিয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জাজোদিয়া বলেছিলেন, “এখন তো দেখছি বল নিয়ে সমালোচনা করা একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উইকেট নিতে না পারলে তো আম্পায়ারদের উপর চাপ তৈরি করা হয়। অথচ বোলারদের দক্ষতা বা উইকেটের মান নিয়ে কেউ কোনও কথাই বলে না। উইকেটে পাঁচটা সেঞ্চুরি হচ্ছে আর দোষ দেওয়া হচ্ছে বলকে। ৮০ ওভার পর নতুন বল নেওয়া হয়। মনে হয়, এই নিয়মের বদল করা প্রয়োজন। ৮০ ওভারের পরিবর্তে ৬০-৭০ ওভারে বল পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবা উচিত। তবে কেউ যদি মনে করে বল অতক্ষণ শক্ত থাকবে, সেটা তো আর হতে পারে না।” আর এখন তিনি জানাচ্ছেন পরেরবার শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে কি বকলমে তিনি ডিউক বলের সমস্যার কথা মেনে নিলেন?