রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: সংঘাত কেন্দ্র ও রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে। আর তার জেরে দূষণের বিষে জর্জরিত আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার বাসিন্দারা। সমস্যার কেন্দ্রে ডলোমাইট। জেলার প্রাণকেন্দ্রে দলগাঁও রেলস্টেশনের দুটি প্ল্যাটফর্মে ডলোমাইটের গুঁড়োর বস্তা ওঠানামা হয়। সেই গুঁড়োর প্রভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এলাকার পরিবেশ সুস্থ রাখতে দলগাঁও স্টেশনে এই কাজ বন্ধ হোক। তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক চার কিলোমিটার দূরের মুজনাই স্টেশনে। এই দাবিতে বাসিন্দারা পুজোর পর থেকে লাগাতার আন্দোলনে শামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ডলোমাইটের ‘বিষে’ দূষণ, সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করেছে কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গার অভিযোগ, মুজনাই স্টেশনে ডলোমাইট ওঠানামার জন্য প্রয়োজন জায়গা। সেই জায়গা রাজ্য সরকার দিচ্ছে না। বীরপাড়ার বাসিন্দাদের মুজনাই স্টেশন থেকে ৫০০ মিটার আগে হরিপুরে লোড-আনলোড করানো হলে জমির প্রয়োজন রয়েছে, মুজনাইতে তা করলে রেলের নিজস্ব জমি রয়েছে। তাহলে সাংসদ কী করে বলছেন জমির প্রয়োজন রয়েছে?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ডলোমাইটের বস্তা ওঠানামার জন্য পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রই নেই রেলের কাছে। তৃণমূল বিধায়ক জয়প্রকাশ টোপ্পোর দাবি, ”রাজ্যের পরিবেশ দপ্তর এবিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু সেই অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে রেল কোনও জমিই চায়নি, চাইলে নিশ্চয়ই রাজ্য সরকার জমি দিত।” যদি পরিবেশ দপ্তরের অনুমোদন না থাকে, তাহলে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন? প্রশ্ন বিজেপি সাংসদের। দু’দলের এই রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়িতে বেজায় ক্ষুব্ধ বীরপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, পুজোর পর লাগাতার হরতাল, পদযাত্রা, ভোট বয়কটের মত আন্দোলনে শামিল হবেন তারা।