সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক এবং কঙ্গনা রানাউত যেন একে-অপরের সমার্থক। বরাবর বেফাঁস মন্তব্য বা পোস্টের জেরে চর্চার শিরোনামে বিরাজ করেছেন অভিনেত্রী। সে বলিউডের ময়দান হোক কিংবা রাজনৈতিক ইস্যু, সবেতেই রণং দেহি মূর্তি সাংসদ-নায়িকার। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনে পোস্ট করায় নিজের দলেই সমালোচিত কঙ্গনা। এমনকী চাপে পড়ে সেই ‘বিতর্কিত পোস্ট’ও ডিলিট করতে হল তাঁকে।
বানিজ্যমহলের খবর, অ্যাপলের সিইও টিম কুকের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে ট্রাম্প নাকি তাঁকে স্পষ্ট বলেন, “তুমি আমার বন্ধু। তোমাকে সাহায্য করতে চাই। কিন্তু শুনছি তুমি নাকি গোটা ভারতজুড়ে আইফোনের উৎপাদন বাড়াতে চাইছ। আমার কিন্তু সেটা মোটেই পছন্দ নয়। চাইলে তুমি ভারতে অ্যাপেলের পণ্য তৈরি করতেই পারো। কিন্তু ভারতে শুল্কের হার খুব বেশি। তাই ভারতে অ্যাপেলের পণ্য বিক্রি করা খুব কঠিন।” ট্রাম্পের দাবি, ভারত নাকি আমেরিকার জন্য এমন নীতি গ্রহণ করবে যেন মার্কিন পণ্যে কোনও শুল্কই না থাকে। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প চান না ভারতে অ্যাপেলের কারখানা হোক। সেই খবর শেয়ার করেই কঙ্গনা রানাউত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোক্ষ উগড়ে দেন সাংসদ-অভিনেত্রী।
এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখেন, ভারতের প্রতি ট্রাম্পের ভালোবাসা হারানোর কারণ কী? ব্যাখ্যা দিয়ে সাংসদ-অভিনেত্রীর মত, ‘প্রথমত, তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেও বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় রাষ্ট্রনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়ত, এটা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ কিন্তু নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদ। এবং তিন নম্বর হল- ট্রাম্প নিঃসন্দেহে একজন আলফা মেল হলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী হলেন সব আলফা মেলদের বাবা। আপনাদের কী মনে হয়? এটা ব্যক্তিগত ঈর্ষা নাকি কূটনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা?’ কঙ্গনার এমন পোস্ট নিয়ে রাজনৈতিকমহলে শোরগোল পড়তেই জেপি নাড্ডা অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর নির্দেশেই কঙ্গনা রানাউত বিস্ফোরক পোস্টটি ডিলিট করেন। সেকথা জানিয়ে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাজি আমাকে ফোন করে ট্রাম্প-টিমকে নিয়ে করা পোস্টটি মুছে ফেলতে বলেন। তাই ডিলিট করে দিলাম। আমার ইনস্টাগ্রাম থেকেও সেই পোস্ট ডিলিট করলাম। ধন্যবাদ।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন