সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার ‘শুল্কচাপে’র জেরে আরও কাছাকাছি আসছে নয়াদিল্লি-মস্কো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এবার ভারতের সফরসূচি পাকা করে ফেললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার ক্রেমলিন থেকে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরে দিল্লি আসছেন তিনি। বিভিন্ন দেশের উপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে যেভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, বিশেষত মস্কোর সঙ্গে দিল্লির বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক তাঁর যেমন ‘চক্ষুশূল’ হয়ে উঠেছে, সেই আবহে মাস তিনেক পরই রুশ প্রেসিডেন্টের এই ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ নিঃসন্দেহে।
এই মুহূর্তে জাপান সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আগামী রবিবার, ৩১ আগস্ট সেখান থেকেই চিনে যাবেন তিনি। চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও অর্থাৎ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন রয়েছে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। সম্মেলনের পাশাপাশি ১ সেপ্টেম্বর, সোমবার তিয়ানজিনেই মোদি ও পুতিনের আলাদা করে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। দু’জনে সংক্ষিপ্ত আলোচনাও সারবেন বলে খবর। তবে তার আগেই মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ভারত সফরের কথা জানিয়ে দিল ক্রেমলিন। পুতিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ শনিবার বিবৃতি দিয়ে প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের দিনক্ষণ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, পুতিনের এই সফরে নয়াদিল্লি ও মস্কো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও খানিকটা এগিয়ে চলার আশা দেখা যাচ্ছে, যা অতি গুরুত্বপূর্ণ দু’দেশের কাছেই।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এটাই পুতিনের প্রথম ভারত সফর হতে চলেছে। গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ভারতে আসার খবর মিলেছিল। নয়াদিল্লিতে ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফে ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ওলেকসান্ডার পোলিশচুক জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শিগগিরি দিল্লি সফরে আসছেন জেলেনস্কি। ‘বন্ধু’দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘ যুদ্ধ থামানো নিয়ে মধ্যস্থতা করুক ভারত, এমনটা চান তিনি। আসন্ন সফরে সেই আর্জিই হয়ত জানাবেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। তবে জেলেনস্কির সফরসূচি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
তার আগেই ক্রেমলিন জানিয়ে দিল, ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট।ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, আমেরিকার ‘দাদাগিরি’, প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সমীকরণ, দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদি-পুতিনের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।