সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন শিক্ষা দপ্তর থেকে এক লপ্তে ১৪০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের হোয়াইট হাউসের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরকে সংক্ষিপ্ত করার নীতি নিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে পথে নামে বিরোধী দলগুলি। মামলা উঠেছিল আদালতে। যদিও ধোপে টিকল না সেই আপত্তি।
দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই বিভিন্ন দপ্তর থেকে ‘অতিরিক্ত’ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা দপ্তরও। এই দপ্তরের ১৪০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াইট হাউস। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল ট্রাম্পের বিরোধীরা। নিম্ন আদালতে মামলা হলে প্রশাসনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতিরা। যদিও ইউএস সুপ্রিম কোর্ট সেই স্থগিতাদেশ তুলে নিল। আদালতের নির্দেশে জানানো হয়েছে, কর্মী সঙ্কোচনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে প্রশাসন। উল্লেখ্য, আমেরিকার ৫১টি প্রদেশেই রয়েছে নিজস্ব শিক্ষা বিভাগ। সমান্তরাল ভাবে কাজ করত কেন্দ্রীয় শিক্ষ দপ্তর। ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি দাবি করে, অতিরিক্ত কর্মী রয়েছে এই বিভাগে। এরপরেই কর্মী সঙ্কোচনের নির্দেশ দেওয়া হয়। মাঝে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, “আমরা শিক্ষা ফিরিয়ে দিচ্ছি অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে, সেখানেই এটির থাকা উচিত।”
গত বৃহস্পতিবারই বিদেশদপ্তরের সহকারি সচিব মাইকেল জে রিগাস জানিয়েছিলেন, তাঁর দপ্তরে বড়সড় ছাঁটাই হতে পারে। সেইমতো সিভিল সার্ভিস ও বিদেশ দপ্তরের ১৩৫০ জন কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়। সেই নোটে জানানো হয়েছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে এবং বিদেশদপ্তরের অভ্যন্তরিক কাজকে সহজ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এটাই শেষ নয়, দপ্তরের যে সব বিভাগের প্রয়োজনীয়তা তুলনামূলকভাবে কম সেখানকার কর্মীদের উপর আবারও ছাঁটাইয়ের খাঁড়া নেমে আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।