টিম ইন্ডিয়ার কপালে জয়-তিলক, ভারত-পাক দ্বৈরথের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংস!

টিম ইন্ডিয়ার কপালে জয়-তিলক, ভারত-পাক দ্বৈরথের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংস!

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কুল-তিলকে’ এশিয়াসেরা টিম ইন্ডিয়া। কী বুঝতে অসুবিধা হল? প্রথমজন কুলদীপ যাদব। তাঁর স্পিনের সামনে কুপোকাত পাক ব্যাটিং। অন্যজন তিলক বর্মা। কঠিন সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে ভারতকে জেতালেন। নিজে হাফসেঞ্চুরিও করলেন। বলা যায়, সূর্যকুমারের কপালে যে এশিয়াসেরার জয়তিলক উঠল, তা এই ‘কুল-তিলকের’ সৌজন্যেই। তিলকের হাফসেঞ্চুরিকে কিন্তু ইতিমধ্যেই ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের অন্যতম সেরা ইনিংস বলা শুরু হয়েছে।

অভিষেক শর্মাদের নিয়ে চর্চায় সেভাবে আলোচনায় আসেন না তিলক। কিন্তু ঠিক কাজের কাজটা করে যাচ্ছেন। শর্মা না থাকলেও এদিন বর্মা ছিলেন। ফাইনালে অভিষেক ব্যর্থ। আউট হন পাঁচ রানে। এক ম্যাচে হতেই পারে। কিন্তু সূর্যকুমারের ফর্ম কবে ফিরবে? গোটা এশিয়া কাপে রান পাননি। ফাইনালে তাঁর জ্বলে ওঠার সুযোগ ছিল। কিন্তু আউট হলেন মাত্র ১ রানে। একই কথা শুভমান গিলকে নিয়েও। তিনি করেন ১২ রান। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক দুজনেই ব্যর্থ। কিন্তু ওই যে নীরব যোদ্ধা তিলক আছেন। ২০ রানে ৩ উইকেট থেকে যে ভারত প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল, তাঁর নেপথ্যে এই একজনই। যোগ্য সঙ্গ দিলেন সঞ্জু স্যামসন (২৪) ও শিবম দুবে (৩৩)। কিন্তু তিলক না থাকলে অসাধ্যসাধন হত না। শিবম আউট হয়ে গেলেও অপরাজিত থাকেন ৬৯। মারেন ৪ ছক্কা, ৩টি চার। শেষ পর্যন্ত ভারত ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। 

অন্যদিকে কুলদীপ যাদব। এবারের এশিয়া কাপে সেরা ফর্মে আছেন তিনি। এই ম্যাচ শুরুর আগে ১৩টি উইকেট ছিল তাঁর পকেটে। ফাইনালে ৩০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। মনে করিয়ে দেওয়া যাক, কুলদীপ গত এশিয়া কাপেও সেরা প্লেয়ার হয়েছিলেন। ফাইনালে যখন পাক ব্যাটাররা শুরুতে শাসন করছিলেন, তখন আসেন কুলদীপ। আসেন, দেখেন, জয় করেন। বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেলরা ২ উইকেট করে উইকেট নেন ঠিকই। ১১৩ রানে ২ উইকেট থেকে ১৪৬ রানে পাকিস্তানের অলআউট হয়ে যাওয়ার প্রধান কারিগত কুলদীপই। ঘূর্ণিজালে তিনি ফেরান সাইম আয়ুব, সলমন আলি আঘা, শাহিন আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফকে। বাকি কাজটা ব্যাট হাতে করলেন তিলক। 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *