টিনের ঘর থেকে দ্বিতল ভবন, টাকোয়ামারি হাইস্কুলের ২৫ বছর পূর্তি

টিনের ঘর থেকে দ্বিতল ভবন, টাকোয়ামারি হাইস্কুলের ২৫ বছর পূর্তি

শিক্ষা
Spread the love


 

একসময় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ করতে যেতে হত অনেকটা দূর। আশপাশের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল না কোনও বিদ্যালয়। অবশেষে ২০০০ সালে মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকোয়ামারিতে স্থানীয় ডাকুয়া পরিবারের সহযোগিতায় স্থাপিত হয় টাকোয়ামারি হাইস্কুল। প্রয়াত জয়কান্ত ডাকুয়া, নীরেন ডাকুয়া উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম।

২০০০ সালে সরকারি অনুমোদন মিললেও সেসময় নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কোনও শিক্ষক যোগদান করতে পারেননি। ২০০২ সালে তিনজন শিক্ষক যোগদান করলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৮ জন পড়ুয়া নিয়ে পথ চলা শুরু।

এর দু’বছর পর প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আশুতোষ পাল। তখন পড়ুয়া সংখ্যা ছিল ১৫৫। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ২০১১ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৮-তে উচ্চমাধ্যমিকের অনুমোদন মেলে।

একটিই টিনের ঘর ছিল। তাই সব ক্লাসের পড়ুয়াদের একসঙ্গে বসে ক্লাস করতে হত। এখন অবশ্য ১৪টি শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, কম্পিউটার কক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষকদের বসার জন্য আলাদা কক্ষ, অফিস ঘর, ল্যাবরেটরি, পর্যাপ্ত শৌচাগার রয়েছে। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৬১২।

বিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি- দু’দিন ধরে চলেছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া সূচিতে ছিল শোভাযাত্রা, প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসব, স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের অনুষ্ঠান।

অষ্টম শ্রেণির রিমি রাভার পরিবেশিত ‘রাভা নৃত্য’ প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে দর্শকদের। ‘ময়না ছলাৎ ছলাৎ’ গানে নৃত্য পরিবেশন করে মৌসুমি রায়, সঞ্জনা ওরাওঁ আর রিমি রাভা। ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’ গান শুনিয়েছে রুকসানা খাতুন।

‘বীরপুরুষ’ নৃত্যনাট্যে নজর কাড়ে সুচরিতা মণ্ডল, জয়দেব দে ও শোয়েব আখতারদের অভিনয়। বর্তমান পড়ুয়াদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তনীরা। সরস্বতী ডাকুয়া, তরুলতা ডাকুয়া ও আরিফ হোসেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে কর্মরত, জয়ন্ত বর্মন এমভিআই, শিবু দে শিক্ষক, মানস ডাকুয়া সেনা জওয়ান ও রাইফুল আহমেদ একজন ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘদিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে পা রেখে উচ্ছ্বসিত তাঁরা।

প্রধান শিক্ষক আশুতোষ পালের কথায়, ‘গুটিগুটি পায়ে বিদ্যালয়টি ২৫ বছরে পদার্পণ করল। এই গ্রামের প্রতিটি পরিবারে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে যোগদান করেছিলাম। দু’দিনের অনুষ্ঠান খুব সুন্দরভাবে পরিবেশিত হয়েছে। সারাবছর ধরে নানা কর্মসূচি রয়েছে। ডিসেম্বরে সমাপ্তি অনুষ্ঠান।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া, তুফানগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শীতলচন্দ্র দাস, পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি নিখিল সরকার, বর্তমান সভাপতি পঙ্কজ বড়ুয়া ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *