সুব্রত বিশ্বাস: টিকিট করার সঙ্গেই এবার বুকিং করা যাবে খাবারও। এই পরিষেবা এতদিন রাজধানী, শতাব্দী, দূরন্ত ও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাওয়া যেত। এবার সাধারণ মেল, এক্সপ্রেসেও মিলবে এই পরিষেবা। ‘ই-প্যান্ট্রি সার্ভিস’ নামের এই পরিষেবা ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বিবেক এক্সপ্রেসে চালু করেছে আইআরসিটিসি। সাফল্য আসায় এবার দেশের ৬০টি ট্রেনে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে কর্পোরেট সংস্থা।
সংস্থার মুখপাত্র ভি কে ভাটি জানিয়েছেন, এই পরিষেবা চালুর উদ্দেশ্য যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া। বিশেষ করে ট্রেনের কামরায় খাবারের বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যাত্রীদের সঙ্গে কর্মীদের বিতণ্ডা হয়। এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে। যাত্রীরা ট্রেনে টিকিট বুকিংয়ের সময় ‘ই-প্যান্ট্রি সার্ভিস’ পরিষেবা নিতে চাইলে নির্ধারিত জায়গায় টিকিটের সঙ্গে মূল্য ধরে দেবেন। এরপর তার মোবাইলে ‘মিল ডেলিভারি কোড’ চলে আসবে। সেই ‘এমডিসি’ ট্রেনের প্যান্ট্রি কর্মীদের দেখালেই মিলবে খাবার। এজন্য কোনও পরিষেবা চার্জ দিতে হবে না। ফলে বাড়তি টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারী দীর্ঘ পথের এই বিবেক এক্সপ্রেসে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই পরিষেবার সূচনা হয়েছে। সুফল মেলায় অন্য সাধারণ মেল এক্সপ্রেসে এই পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। ট্রেনে লাঞ্চ, ডিনার সব ধরনের মিল পাওয়া যায়। প্যান্ট্রির কর্মরত সংস্থার লোকজন যাত্রীদের থেকে বাড়তি চার্জ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ধরনের বেআইনি কাজ বন্ধ করতে আগে একাধিক পদ্ধতি নিয়েছে রেল। কর্মীদের গলায় ঝুলবে খাবারের দামের মেনু কার্ড। এরপরও বন্ধ হয়নি অভিযোগের ঝাঁপি। দুর্নীতি বন্ধ না হওয়ায় সংস্থাটি এবার সব ধরনের মেল, এক্সপ্রেসে অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের সঙ্গে খাবারও বুকিং করতে পারবেন। ইচ্ছামতো, ভেজ, ননভেজ, সব খাবারই বুক করতে পারবেন। জলও বুক করা যাবে। মূলত পরিষেবার স্বচ্ছতা আনতে এই পদ্ধতি শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই বলে জানিয়েছে এই সংস্থা।