সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালেন্ডারের হাত ধরে বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। আর সেই থেকে টানা বৃষ্টি চলছে তো চলছেই। সকাল থেকে মেঘে ঢাকা আকাশ অন্ধকার, ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সূর্যের দেখা নেই। কোনও কোনও দিন যদি বা একটু বেলা বাড়লে রোদ উঁকি দিচ্ছে, কিন্তু পরক্ষণেই ফের বৃষ্টিতে মুখ ঢাকছেন সূর্যদেব! এমন এক অলস সময় দিনযাপন ছাড়া আর বোধহয় কিছুই ভালো লাগে না। মনে হয়, এমন দিনেই ‘তারে বলা যায়’। কিন্তু বাস্তব যে বড় কঠিন! বর্ষার দিনেও প্রাত্যহিকতায় ছেদ পড়লে চলে না। অফিস করতে হয়, বাড়ির কাজও রোজকার মতো চলে। আর এই সময় সবচেয়ে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে যে বিষয়টি, তা হল জামাকাপড় না শুকনো। আর্দ্র বাতাসে জামাকাপড় শুকোতেই চায় না। আবার রোজকার ব্যবহারের পোশাক না কাচলেও নয়। এমতাবস্থায় কীভাবে মুশকিল আসান করবেন? আপনার বিরক্তির অবসানে রইল বেশ কয়েকটি টিপস।
প্রথমত, কাচার পর যে কোনও জামাকাপড় ভালো করে নিংড়ে নিতেই হবে। মনে রাখবেন, সেটাই সহজে জামাকাপড় শুকনোর মূল চাবিকাঠি। তারপর শৌচালয়ের হ্যাঙারেই পোশাক ঝুলিয়ে রাখুন। তাতে কিছুটা জল ঝরে যাবে। এরপর মেলার পালা। কী করবেন? বাড়ির কোনও ঘর ফাঁকা থাকলে তার ভালো কিছুই হবে না। সেই ঘরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত লম্বা দড়ি টাঙিয়ে ফেলুন। তাতে একটু একটু ফাঁক রেখে মেলে দিন জামাকাপড়গুলো। পাখা চালিয়ে দিন। তাতে দিনভর শুকোবে আপনার বস্ত্র।
দড়িতে না মেলে ভেজা জামাকাপড় হ্যাঙারেও ঝুলিয়ে দিতে পারেন। তাতে হাওয়া চলাচল ভালো হয় এবং পোশাকও তাড়াতাড়ি শুকোয়। তবে হ্যাঙারে নিয়ে আবার ব্যালকনি কিংবা ছাদে দেবেন না। তাহলে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আবার রাতে মশারির উপরও জামাকাপড়গুলো মেলে দিতে পারেন। তাতে রাতভর শুকিয়ে যাবে।
এসব উপায় অবলম্বন করেও যদি জামাকাপড় না শুকোয়, তাহলে তো হাতের কাছে ইস্ত্রি কিংবা হেয়ার ড্রায়ার তো আছেই। জল ঝরে যাওয়া জামাকাপড় প্রথমে ড্রায়ার দিয়ে আরও খানিকটা শুকনো করুন, তারপর সোজা আয়রন টেবিলে নিয়ে গিয়ে চালিয়ে দিন ইস্ত্রি। ব্যস, সাফসুতরো গরমাগরম পোশাক পেয়ে যাবেন। বাড়িতে ওয়াশিং মেশিন থাকলে কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে। ওয়াশিং মেশিনের ড্রায়ারই শুকনোর কাজ করে দেবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন