সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: পরিবহণ দপ্তর অন্যায়ভাবে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করছে বলে অভিযোগ। সেই জরিমানা না দিতে পারলে গাড়ি আটকে রাখায় মুরগি মারা যাচ্ছে। লোকসান হচ্ছে ঝাড়গ্রামের ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ীদের। এই হয়রানি বন্ধ না করলে আগামী দিনে ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলায় ব্রয়লার মুরগি পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই হুঁশিয়ারিও এদিন দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি আগামী দিনে কলকাতায় মুরগি সরবরাহে ঘাটতি হবে? লাফিয়ে বাড়তে পারে চিকেনের দাম? সেই আশঙ্কার কথাও উঠে আসছে।
ঝাড়গ্রামে প্রচুর সংখ্যায় ব্রয়লার মুরগির খামার আছে। সেখান থেকে মুরগি কলকাতা ও আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হয়। অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মুরগি পরিবহণ করতে গিয়ে বারবার পরিবহণ দপ্তরের হয়রানির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বহু সময় বেশি অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। সেই জরিমানা না দিতে পারলে মুরগি বোঝাই গাড়ি আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় বহু মুরগি মারা যাচ্ছে বলেও দাবি ব্যবসায়ীদের। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এদিন নদিয়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি জেলার ব্যবসায়ীরা ঝাড়গ্রাম পরিবহণ দপ্তরে গিয়ে সমস্যার কথা জানান। এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের গৌতম সরকার ও হুগলির জেলার বয়লার মুরগি ব্যবসায়ী শেক মইনুর আলমরা বলেন, “আজ আমরা ঝাড়গ্রাম আরটিও অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। আমাদের গাড়িগুলি যখন এখানে লোড করতে আসে, তখন অকারণে কেস দেওয়া হচ্ছে। জরিমানার টাকা সঙ্গে সঙ্গে চাওয়া হচ্ছে। টাকা না দিতে পারলে গাড়ি আটকে রাখছে প্রশাসন। ফলে গাড়িতে থাকা মুরগি মারা যাচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।” এই সমস্যার সমাধান না হলে মুরগি সরবরাহ বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
সরবরাহ বন্ধ হলে কলকাতায় ব্রয়লার মুরগির যোগানে টান পড়তে পারে। কেজি প্রতি চিকেনের দাম বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের তরফে কিছু জানানো হয়নি বলে খবর।