ঝাড়খণ্ডে গিয়েও হুলাপার্টির মুখে পড়ে বিপদে জিনাত সঙ্গী! জারি হাই অ্যালার্ট

ঝাড়খণ্ডে গিয়েও হুলাপার্টির মুখে পড়ে বিপদে জিনাত সঙ্গী! জারি হাই অ্যালার্ট

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: জঙ্গলেও বারবার বিপদের মুখে পড়ছে জিনাতের পুরুষ সঙ্গী। বাংলার পর ঝাড়খণ্ডেও একই অবস্থা। রাইকা পাহাড়ের ভাঁড়ারি-যমুনাগোড়া জঙ্গলে থাকা জিনাত সঙ্গীকে খাঁচাবন্দি করতে হাতি তাড়ানোর মতো হুলা পার্টিকে দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান করানো হয়। সেই সঙ্গে ফাটানো হয় প্রচুর পটকা। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে গর্জন করে বাংলা ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে ঢুকে যায় ওই রয়্যাল বেঙ্গল। কিন্তু সেখানেও হাতির দলকে খেদাতে ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ হুলা ও পটকা ব্যবহার করায় ওই বাঘ পুরুলিয়ার সীমানায় চলে আসে।

ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামশেদপুর ডিভিশনের ঘাটশিলা রেঞ্জের বাঁশাডেরা জঙ্গলে রয়েছে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। যেখান থেকে পুরুলিয়ার দূরত্ব মাত্র ৫ কিমি। এছাড়া ঝাড়গ্রামের দূরত্ব ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। পুরুলিয়ার পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের ঝাড়খন্ড সীমানাতেও নজরদারি চলছে বনদপ্তরের। সুন্দরবনের যে টিম পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে ছিল তাদের মধ্যে দু’জন রওনা হলেও বাকি ৪ জন আপাতত বান্দোয়ানেই থাকবে বলে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাঘবন্দি অভিযানের তত্ত্বাবধানে থাকা রাজ্যের মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) সিঙ্গরম কুলান ডাইভেল বলেন, “বুধবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত আমাদের কাছে যা খবর এসেছে তাতে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি ঘাটশিলা বনাঞ্চলের বাঁশাটাড় এলাকায় রয়েছে। বাঘটি মঙ্গলবার রাতে ঝাড়খণ্ডের অনেক ভেতরে চলে গিয়েছিল। ঝাড়খণ্ডে হাতি তাড়াতে ড্রাইভ চলছে। সেই কারণেই বাঘটি পুরুলিয়ার সীমানায় চলে এসেছে।”

পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আগুন জ্বালিয়ে নজরদারি বনকর্মীদের। ছবি: অমিতলাল সিং দেও

কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাঘটি পুরুলিয়ার সীমানা থেকে তিন কিমি দূরে থাকলেও রাতের দিকে ঝাড়খণ্ডের ভেতরে চলে যায়। ভেতরে গিয়েও বিপদের মুখে পড়ে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ সেখানে থাকা হাতির দলকে তাড়াতে আগুন ও পটকা ব্যবহার করাতেই মুখ ঘুরিয়ে নেয়। ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এদিন বিকাল পর্যন্ত যেখানে ছিল সেখান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গেলে গুড়পানা, ঘাঘরা হয়ে বান্দোয়ান ঢুকে যাবে।

তবে একবারে সোজা পথে হাঁটলে বগডোবা হয়ে ঝাড়গ্রাম চলে যেতে পারে। সেই কারণেই ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার বনবিভাগ সমন্বয়ের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে। দুই জেলার মধ্যেও চলছে তথ্য আদানপ্রদান। এছাড়া ঝাড়খণ্ড তো রয়েছে। কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার ঝাড়খণ্ড সীমানায় মোট তিনটি টিম রয়েছে। যাদেরকে একেবারে হাই অ্যালার্ট জারি করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। একটা বাঘের ক্ষেত্রে এক রাতে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। ফলে যেকোন সময় বাংলায় ঢুকে যেতে পারে। বলছে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ। ফলে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছে না বনদপ্তর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *