সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে ফের পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের। দিনকয়েক আগেই মানবাধিকার নিয়ে ইসলামাবাদকে কটাক্ষ করেছিলেন ভারতীয় প্রতিনিধি ক্ষীতিজ ত্যাগী। এবার আরেক ভারতীয় কূটনীতিক মহম্মদ হুসেন সাফ জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানের মতো দেশের পক্ষে ভারতকে মানবাধিকার নিয়ে ‘জ্ঞান দেওয়া’ মোটেই শোভা পায় না। কারণ পাকিস্তানি প্রশাসন নিজেদের দেশেই সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পারে না।
বুধবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ৬০তম সেশনের বৈঠক ছিল। সেখানেই হুসেনের তোপ, “পাকিস্তান অন্য দেশগুলিকে মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে কথা শোনায়, সেটা যথেষ্ট স্ববিরোধী বলে মনে করে ভারত। প্রোপাগান্ডা না ছড়িয়ে পাকিস্তানের উচিত, নিজেদের দেশের মাটিতে যেভাবে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছেন সেই সমস্যার সমাধান করা।” পরিসংখ্যান বলছে, কেবলমাত্র ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে চলতি বছর পাকিস্তানে ৭০০জনকে জেলবন্দি করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যাটা ৩০০ শতাংশ বেশি।
দিনকয়েক আগেই রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়েছিল ভারত। তার দু’দিন আগে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি গ্রামে বোমা ফেলে শাহবাজ শরিফের সেনা। মৃত্যু হয় ৩০ জন সাধারণ নাগরিকের। তার মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে। আর এই ঘটনাকে উল্লেখ করেই রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি তোপ দাগেন পাকিস্তানি প্রশাসনকে। ক্ষীতিজ দাবি করেন, মানবাধিকার প্রসঙ্গে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যে ধরনের দাবি করছে তা ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক।
কেবল মানবাধিকার নয়, অপারেশন সিঁদুর নিয়েও রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে কটাক্ষ করেছে ভারত। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধে জয়ী হয়েছে তারা। পালটা ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, ধুলোয় মিশে যাওয়া বিমানঘাঁটি যদি কারও জয়ের নজির হয়, তবে তাই হোক। ওই নিয়েই খুশি থাক পাকিস্তান।