জেলেই তৈরি লুটেরা গ্যাং! বিভিন্ন জেলায় ‘অপারেশন’, স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে লুটের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

জেলেই তৈরি লুটেরা গ্যাং! বিভিন্ন জেলায় ‘অপারেশন’, স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে লুটের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: জগৎবল্লভপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। জেলে বসেই তৈরি হচ্ছে অপরাধের ছক। সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেয়েই করা হচ্ছে অপরাধ। তৈরি ৩০-৩৫ জনের গ্যাং। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ছিনতাই করছে এরা। অপরাধীদের খোঁজে রাজ্যের সব জেলার পুলিশ একযোগে শুরু করেছে তল্লাশি। জগৎবল্লভপুরের ঘটনায় ধৃত ৬ জনকে জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

এক সপ্তাহ আগে গত মঙ্গলবার জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ দেবানাথের উপর হামলা করে একদল দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার রাতে তিনি দোকান বন্ধ করে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় হুগলি এবং হাওড়ার মাঝখানে তেলিহাটির কাছে তাঁর পথ আটকায় তিন দুষ্কৃতী। অভিযোগ তাঁর টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তিনি বাধা দেওয়ায় তাঁর মাথায় কোদালের বাঁট দিয়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ। তারপরই ছিনতাইবাজরা তাঁর টাকার ব্যাগ কিছু গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনার তদন্তে নেমে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হদিশ মেলে বড়সড় গ্যাংয়ের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে জেলে বসেই তারা অপরাধের পরিকল্পনা করে। কোনও না কোনও সময় তারা একসঙ্গে জেলে ছিল। গ্যাংয়ের সবাই একসঙ্গে চন্দননগর ও বর্ধমান জেলে এক সাথে সাজা কাটিয়েছে। জেলে বসেই শুরু হয় পরিকল্পনা।‌

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে গ্যাংয়ের সদস্যরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ছিনতাই করছে। গ্যাংয়ের বাকিদের খোঁজে রাজ্যের সব জেলার পুলিশ একযোগে শুরু করেছে তল্লাশি। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কলকাতা পুলিশের একটি দলও। হুগলি পুলিশ, মেদিনীপুর পুলিশ-সহ একাধিক জেলা পুলিশও ওই দুষ্কৃতীদের হেফাজতে নিয়ে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসা করতে পারে। হাওড়ার গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, “আমরা গোটা গ্যাংটাকে ধরার চেষ্টা করছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *