অর্ণব আইচ: জীবনকৃষ্ণ সাহার টাকা ফেরতের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কারণ মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ইডির হেফাজতে থাকাকালীন দাবি করেন যে, তিনি কোনও চাকরিপ্রার্থীকে টাকা ফেরত দেননি। কারণ, তিনি চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকাই নেননি। বরং তিনি এক ব্যক্তিকে জমি কেনার জন্য ওই পরিমাণ টাকা দিয়েছেন বলে ইডিকে জেরায় জানিয়েছেন।
এদিকে, এসএসসি-র মামলায় অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিংহের সঙ্গে তাঁর এজেন্ট প্রসন্ন রায়ের মাধ্যমে জীবনকৃষ্ণ সাহার যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। এই ব্যাপারেও জীবনকৃষ্ণকে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শনিবার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ফের বিচারভবনে বিশেষ ইডি আদালতে তোলা হবে। ইডির দাবি, যে পরিমাণ টাকা জীবনকৃষ্ণ এজেন্টদের অথবা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন, তা তিনি ফেরত দিতে শুরু করেন। ৪৬ লাখ টাকা বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে তুলে স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে পাঠান জীবনকৃষ্ণ সাহা। ওই টাকার মধ্যে ১২ লাখ টাকা তিনি তুলেছিলেন এক এজেন্টের কাছ থেকে। কিন্তু তার মধ্যে তিনি পাঁচ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে দেন। যদিও ইডির এই দাবিই অস্বীকার করেছেন জীবনকৃষ্ণ।
ইডির সূত্র জানিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ জেরায় জানান যে, তিনি ওই ব্যক্তিকে তাঁর নিজের থেকেই ওই পাঁচ লাখ টাকা জমি কেনার জন্য আগাম দিয়েছিলেন। যদিও এর পরই ইডি আধিকারিকরা জীবনকৃষ্ণকে ওই জমি কেনার চুক্তিপত্র বা ডিড দেখাতে বলেন। কিন্তু জীবনকৃষ্ণ সাহা কোনও চুক্তিপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি জানান, জমির জন্য আগাম টাকা দিলেও কোনও চুক্তিপত্র হয়নি। যদিও ইডির দাবি, জীবনকৃষ্ণ সাহার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে যে ওই পাঁচ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, তার প্রমাণ মিলেছে। অথচ ওই টাকার সূত্র সম্পর্কে জীবনকৃষ্ণ কিছু জানাননি। আত্মীয়রা ছাড়াও জীবনকৃষ্ণ সাহার পরিবারের গাড়ির চালকের অ্যাকাউন্টেও টাকা গিয়েছে ও তাঁর নামেও সম্পত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডির সূত্র। ওই টাকা ও সম্পত্তির সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে ইডি।