সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশিরভাগ পরিবারেই পুত্রবধূ যেমন বাড়ির মেয়ে, তেমনই আবার জামাই যেন ছেলে। তাদের মঙ্গলকামনায় জামাইষষ্ঠী পালন করেন শ্বশুর-শাশুড়িরা। যেমন ভালো ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন শ্বশুর-শাশুড়িরা, তেমনই আবার উপহারে ভরিয়ে দেন মেয়ে ও জামাইকে। আগামী রবিবার জামাইষষ্ঠী। তাই ইতিমধ্যে বহু গৃহস্থ বাড়িতে চলছে জামাইষষ্ঠীর জোর আয়োজন। মেয়ে ও জামাইয়ের মঙ্গলকামনার জন্য নিজের মনের মতো করে শুধু জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করলেই চলবে না। রয়েছে কিছু নিয়ম। অনেকেই মনে করেন, সেই নিয়মগুলি না মানলে হতে পারে ঘোর বিপদ। তাই জামাইষষ্ঠীর আয়োজনের আগে জেনে নিন কোন কোন নিয়ম মানা প্রয়োজন।
* জামাইকে ভুলেও জোড় সংখ্যায় কিছু দেবেন না। বিজোড় সংখ্যার ফল, মিষ্টি দিতে হয়।
* জামাইকে সরাসরি মেঝেতে কিংবা চেয়ারে বসাবেন না। মাটিতে আসন পেতে বসতে দিন।
* এবার জামাইকে বরণ করুন। বরণডালায় ধান, দূর্বা, পানপাতা, অল্প সরষের তেল এবং অবশ্যই প্রদীপ রাখতে হবে।
* বরণের পর ধান, দূর্বা দিয়ে জামাইকে আশীর্বাদ করতে ভুলবেন না। সঙ্গে কপালে পরান দইয়ের ফোঁটা।
* জামাইষষ্ঠীতে তালপাতার পাখা থাকতেই হবে। পাখা জলে ভিজিয়ে নিন। এবার জামাইকে বরণের পর ওই ভেজা পাখা দিয়ে হাওয়া করুন। সঙ্গে বলুন, ‘ষাট, ষাট, ষাট।’
* রান্নাঘরে নোড়া সকলের থাকে। নোড়াও এদিন জামাইকে বরণের আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। জামাইয়ের সুস্থতা কামনা করে বুকে, পিঠে নোড়া বুলিয়ে দিন।
* জামাই এবং মেয়ের হাতে হলুদ এবং তেল মাখানো সুতো বেঁধে দিন। বলা হয়, আপনার সুতোর গিঁট যত শক্ত হয় ততই যেন অটুট হয় জামাই ও মেয়ের সম্পর্ক।
জামাইষষ্ঠীতে বহু শাশুড়িই উপবাস করেন। নির্জলাও উপবাস করেন কেউ কেউ। তবে কেউ কেউ আবার পুজো শেষ করে খাবার খান।