‘জানি না জিতব কি না’, ছাব্বিশের ভোটের আগে কেন আশঙ্কার সুর চিরঞ্জিতের গলায়?

‘জানি না জিতব কি না’, ছাব্বিশের ভোটের আগে কেন আশঙ্কার সুর চিরঞ্জিতের গলায়?

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


অর্ণব দাস, বারাসত: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে ফের প্রার্থী হবেন কিনা, হলেও জিততে পারবেন না, এসব নিয়ে ফের একবার জল্পনা উসকে দিলেন বারাসতের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বেফাঁস মন্তব্যে নিজেই স্বীকার করে নিলেন, তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে, এখন আর তত ভিড় হয় না। রবিবার বারাসত পুরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লি এলাকায় রক্তদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন চিরঞ্জিত। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই নিজেকে নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনালেন তিনি।

আগেও প্রার্থী হওয়া নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন বারাসতের তিনবারের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তাঁর মন্তব্য ছিল, বয়স হয়েছে, সময় হয়েছে হস্তান্তরের। তাই তৃণমূল সুপ্রিমোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি অব্যাহতির আর্জি জানাবেন বলেও সেবার বলেছিলেন। আর রবিবার চিরঞ্জিত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন আমি থাকছি কি না। তবে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, আমাকে ছেড়ে দিন।” তিনি না দাঁড়ালে বারাসত বিধানসভা কেন্দ্রে সম্ভাব্য প্রার্থী কারা, এই প্রশ্নের জবাবে তারকা বিধায়ক বলেন, “যদি আমি না দাঁড়াই, ৩৫-৪০জন আছে যারা দাঁড়াবে। কে দাঁড়াবে, সেটা দেখা যাবে। সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন। তিনিই ঠিক করবেন আমি থাকছি কি থাকছি না। তবে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, আমার বয়স হয়েছে, ছেড়ে দিন।”

এরপরই আত্মসমালোচনা সুরে বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেন চিরঞ্জিত। বলেন, “আমি জানি না জিতব কি না। কারণ লোকের তো জনপ্রিয়তা কমে। আমার কমেছে বুঝতে পারছি, সেই ভিড়টা আর হয় না।” পরক্ষণেই আবার বলেন, “আবার এত ভোটে কেন জিতে আসছি সেটাও জানি না। আবার সাংসদ কেন ভোট পায় না, সেটাও জানি না। তিনি তো এত কাজ করেন।” নাম না করলেও বারাসতের সাংসদ তথা লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে নিয়ে দলের বিধায়কের এহেন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রকাশ্যে না বললেও এনিয়ে অনেক নেতৃত্বরই বক্তব্য, “লোকসভা ও বিধানসভা দুটি ভোটের আঙ্গিক আলাদা।” এনিয়ে অবশ্য পালটা জবারের পথে হাঁটেননি কাকলি ঘোষ দস্তিদার। প্রতিক্রিয়ার বদলে প্রসঙ্গটি তিনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *