জাঁকজমকভাবে উন্মোচন হল বেঙ্গল সুপার লিগের লোগো, খেলানো হতে পারে বিদেশিও

জাঁকজমকভাবে উন্মোচন হল বেঙ্গল সুপার লিগের লোগো, খেলানো হতে পারে বিদেশিও

রাজ্য/STATE
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: কাঠি পড়ে গেল বেঙ্গল সুপার লিগের ঢাকে। আইএফএর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘শ্রাচী স্পোর্টস’ আর ‘জি বাংলা’ হাত ধরাধরি করে শুরু করল ‘বেঙ্গল সুপার লিগ’। জেলাভিত্তিক এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হবে কালীপুজোর পর। শেষ হবে সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই। তার আগে মঙ্গলবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারের উপস্থিতিতে বেঙ্গল সুপার লিগের ‘লোগো’ উন্মোচিত হল।

কলকাতা লিগের স্পনসর হিসেবে আইএফএর সঙ্গে শ্রাচীর সংযুক্তির সময় চুক্তিতে ছিল এই ‘বেঙ্গল সুপার লিগের’ প্রসঙ্গ। গত মরশুমে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই মরশুমে টেলিকাস্ট পার্টনার ‘জি’কে সঙ্গী করে রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে বেঙ্গল সুপার লিগের ময়দানে নামছে শ্রাচী স্পোর্টস। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটায় অনুঘটকের মতো কাজ করেছেন শিবাজি পাঁজা।

এদিন, পাঁচতারা হোটেলে বেঙ্গল সুপার লিগের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘আমরা কলকাতা লিগ নিয়ে সর্বদা আলোচনা করেছি। কিন্তু বেঙ্গল সুপার লিগ বাংলা জুড়ে লিগের কথা বলবে। এরফলে জেলাগুলির মধ্যে ফুটবল নিয়ে আরও আলোচনা বাড়বে।’

এর আগেও ‘জি স্পোর্টস’ কিংবা ‘জি বাংলা’ ফুটবল সম্প্রচার নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। হয়েছে জি পাড়া ফুটবল। ফলে জেলা ফুটবলের সঙ্গে জি-এর যুক্ত হওয়া নতুন কিছু নেই। যেটা নতুন, তা হল ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। ঠিক হয়েছে, শুরুতে ৮টা জেলা নিয়ে এই লিগ হবে। তবে সম্ভবত কলকাতা জেলা হয়তো থাকবে না। ৮টি দলের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে মোট ৬১টি ম্যাচ খেলা হবে। খেলবেন ২০০ জন ফুটবলার। এদিন সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও, প্রতিটি দলে হয়তো তিনজন করে বিদেশি ফুটবলার খেলানো যাবে। এর পিছনে একটাই কারণ, প্রতিযোগিতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা। শ্রাচী স্পোর্টসের চেয়ারম্যান রাহুল টোডি এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জেলার ফুটবলার তুলে আনা। সঙ্গে ফুটবলকে সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়া।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্যাম থাপা, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অতনু ভট্টাচার্য, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক প্রাত্তন ফুটবলার। জিএর তরফে উপস্থিত ছিলেন জি স্পোর্টসের ভবেশ জানভলেকর। জি-এর ক্লাস্টার হেড, সম্রাট ঘোষ। অনির্বাণ দত্ত ছাড়া আইএফএর পক্ষে মঞ্চে ছিলেন, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য পদাধিকারীরা উপস্থিত থাকলেও অনুষ্ঠানে ছিলেন না দুই সহ-সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস এবং সৌরভ পাল।

জি যেহেতু সব ম্যাচ সম্প্রচার করবে, তাই ম্যাচ দেখানোর পাশাপাশি আকর্ষণীয় করে তুলতে ম্যাচের সঙ্গে বিনোদনকেও মিশিয়ে দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে জি বাংলায় যে সিরিয়ালগুলি চলছে, সেই সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকাদেরও এই ম্যাচগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। জি এর ক্লাস্টার হেড সম্রাট ঘোষ বলছিলেন, ‘বেঙ্গল সুপার লিগকে সফল করে তুলতে আমরা ভীষণই আশাবাদী।’

এদিন অনুষ্ঠানটি সংযোজনার দায়িত্বে ছিলেন, গৌতম ভট্টাচার্য এবং বুলবুলি পাঁজা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *