স্টাফ রিপোর্টার: তিন লক্ষের বেশি আদিবাসী মানুষকে ‘জয় জোহার’ প্রকল্পে মাসে এক হাজার টাকা পেনশন দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বিশ্ব আদিবাসী দিবসে আদিবাসী মানুষদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ বছরে আদিবাসী উন্নয়নে সরকার কী কী কাজ করেছে তুলে ধরে লেখেন, ‘আমাদের সরকারের তরফে আলাদা আদিবাসী উন্নয়নদপ্তর গঠন করা হয়েছে। সাঁওতালি, কুরুখ, কুড়মালি, নেপালি, হিন্দি, উর্দু, রাজবংশী, কামতাপুরি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তেলুগু ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সাদরি ভাষার মানোন্নয়নেও আমরা সচেষ্ট।’
এবছর ৭ থেকে ১০ আগস্ট ৪ দিন ব্যাপী বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন হচ্ছে। সে প্রসঙ্গ টেনেই মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আমরা সব ভাষাকেই সম্মান করি। সারনা/সারি ধর্মের স্বীকৃতির জন্য বিধানসভায় বিল পাস করা হয়েছে ও কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ রাজ্যে আদিবাসী মানুষের জমি হস্তান্তর নিয়েও নতুন যে আইন এসেছে তাও উল্লেখ করেন মমতা। লেখেন, ‘প্রায় সাড়ে ১৯ লক্ষ এসটি প্রদান হয়েছে। দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ ২০১১ সালের তুলনায় ৭গুণের বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফরেস্ট রাইটস অ্যাক্ট-এর অধীনে ৪৯ হাজার আদিবাসীকে ফরেস্ট পাট্টা, ৮৫১টি কমিউনিটি ফরেস্ট পাট্টা প্রদান করা হয়েছে। প্রায় ৩৬ হাজার দরিদ্র আদিবাসী কেন্দুপাতা সংগ্রহকারী মানুষের জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তাঁদের জন্য ৮টি ডেভলপমেন্ট বোর্ড, সাঁওতালি অ্যাকাডেমি গঠন করা হয়েছে।’
তাঁদের বিভিন্ন উৎসবে সরকারি ছুটির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ভগবান বিরসা মুণ্ডা ও পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিন, হুল দিবস, করম পুজোয় সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়েছে। আদিবাসীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘আগামীতেও এভাবে আমাদের আদিবাসী ভাইবোনদের উন্নয়নে কাজ করে যাব।’