সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জঙ্গিদের মদতদাতা’ পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। তারপরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলছে আমেরিকার বিরাট অংশ। প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা মাইকেল রুবিনের সাফ কথা, পাকিস্তানের জন্য ঋণ মঞ্জুর হচ্ছে দেখেও হাত গুটিয়ে বসেছিল মার্কিন প্রশাসন। রুবিনের মতে, পাকিস্তানের ঋণ মঞ্জুর করার অর্থ বকলমে চিনকে আর্থিক সাহায্য করা।
পাকিস্তানের অর্থনীতির কোমর ভেঙেছে বহু আগেই। গত কয়েক বছর ধরে আইএমএফের ঋণের উপর টিকে রয়েছে শাহবাজের দেশ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ফের আইএমএফের কাছে যায় ইসলামাবাদ। তবে সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানকে যাতে এই ঋণ না দেওয়া হয় তার জন্য স্পষ্ট যুক্তি দেওয়া হয় ভারতের তরফে। অভিযোগ, করা হয় অতীতেও একাধিকবার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই অর্থ তারা সঠিক কাজে ব্যবহার করেনি। সরাসরি সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত জানায়, এই অর্থ পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে অপব্যবহার করতে পারে ফলে এই ঋণ কোনওভাবেই দেওয়া উচিত নয়। ঋণের অর্থের অপব্যবহার হবে বলেও ভারতের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু গত শুক্রবার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানান, পাকিস্তানের জন্য ফের ঋণ মঞ্জুর করেছে আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল। ভারত আপত্তি জানালেও ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। পাশাপাশি এই ভোটাভুটিতে যেহেতু বিপক্ষে ভোট দেওয়া যায় না, তাই ভোট থেকে বিরত থাকে ভারত। সবমিলিয়ে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদকে। এই ঘটনাতেই চটেছেন রুবিন। একটি সম্পাদকীয়তে তিনি লেখেন, আমেরিকা হয়ত ভারত-পাক সংঘাত মেটাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত সেই প্রচেষ্টাকে একেবারে ব্যর্থ করে দেয়।
প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা আরও লেখেন, ‘চিনপন্থী পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার অর্থ চিনকে সাহায্য করা। অর্থের এমন অপচয় বন্ধ করা উচিত ট্রাম্পের। কারণ ১৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আইএমএফকে দেয় আমেরিকা।’ রুবিনের মতে, যে দেশ সন্ত্রাসে মদত দেয় তারা কখনই নিজেদের আমজনতার কল্যাণের কথা ভাবতে পারে না।