সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার সময় ‘আক্রান্ত’ মহিলাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্র জাংরা। তাঁর বক্তব্য, চোখের সামনে স্বামীদের মরতে দেখে মুখ বুজে সহ্য করা উচিত হয়নি মহিলাদের। তাঁদের উচিত ছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করা। তাহলে হতাহতের সংখ্যাটা কম হত। বিজেপি নেতার ওই মন্তব্যকে আক্রান্তদের প্রতি অবমাননাকর বলে মনে করছে বিরোধী শিবির।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রানি লক্ষ্মীবাই, রানি অহল্যাবাই হোলকরদের মতো লড়াকু মহিয়সীদের উদাহরণ টেনে এনে বিজেপির ওই সাংসদ বলেন, “পহেলগাঁওয়ে মহিলা পর্যটকদের লড়াই করা উচিত ছিল। আমার বিশ্বাস মহিলারা লড়াই করলে এভাবে তাঁদের স্বামীদের মেরে দিতে পারত না জঙ্গিরা।” ওই বিজেপি সাংসদ রীতিমতো জঙ্গি হামলার কবলে পড়া মহিলাদের নিশানা করে বললেন, “ওই মহিলাদের মধ্যে লড়াই করার মানসিকতা ছিল না, ইচ্ছাশক্তি ছিল না, সাহস ছিল না, মনের জোর ছিল না। সেকারণেই ওরা জঙ্গিদের সামনে হাতজোড় করছিলেন।”
ওই বিজেপি নেতার কথায়, “আমাদের মা বোনেদের অহল্যাবাই বা ঝাঁসির রানি লক্ষীবাইয়ের মতো সাহসিকতা, চেতনা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।” কেন্দ্রের অগ্নিবীর প্রকল্পেরও উল্লেখ করেন তিনি। জাংরার কথায়, “যদি সব পর্যটক অগ্নিবীর হতেন, তবে তাঁরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে পারতেন।”
বিজেপি সাংসদের ওই মন্তব্যকে রীতিমতো নারীবিদ্বেষী এবং অবমাননাকর বলে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডা বলছেন, “পহেলগাঁওয়ে আমাদের মা-বোনেরা নিজেদের স্বামীদের হারিয়েছেন। এবার এই বিজেপি নেতা তাঁদের সম্মান নিয়েও ছিনিমিনি খেলছেন।” হুডার কথায়, “স্বামী হারানো নারীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছেন বিজেপি সাংসদ। এটি লজ্জাজনক এবং অপমানজনক।”