সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তানেই বসবাস করেন। পাক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য আন্তর্জাতিক মহল যে পাকিস্তানকেই দায়ী করে, সে কথাও তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
আসিফ বলেন, “পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। একথা সত্য। আন্তর্জাতিক মহল বারবার পাকিস্তানকেই দায়ী করে এসেছে। এটা ঠিক যে জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তানেই বসবাস করেন। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনও সম্পর্ক নেই।” শনিবারই ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। তার তিনদিনের মধ্যেই আসিফের এই বিস্ফোরক দাবি নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
প্রসঙ্গত, আগেও আসিফের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় ওঠে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ -এর পর তিনি দাবি করেন, ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে পাক সেনা। তার মধ্যে তিনটি রাফালে। কিন্তু পাকিস্তান এর স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।সিএনএন-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে আসিফ বলেন, “ভারতীয় সোশাল মিডিয়াতেই যুদ্ধ বিমানগুলির ধ্বংসাবশেষের ছবি দেখা গিয়েছে।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক আরও বাড়ে। প্রশ্ন ওঠে, দেশের একজন প্রতিরক্ষামন্ত্রী কীভাবে এই মন্তব্য করতে পারেন? তবে শুধু আসিফ নয়, পাক সরকারের তরফ থেকেও এই একই দাবি করা হয়। কিন্তু সে দেশের কোনও মন্ত্রীই এর স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে পারেননি। উলটে বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচারের জন্য আঙুল উঠেছে পাকিস্তানের দিকেই।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। পালটা ৭ মে অপরেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই অভিযানে অন্তত ১০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়। এরপর রাজস্থান, পাঞ্জাবের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। পালটা লাহোর, করাচি-সহ পাকিস্তানের একাধিক শহরে আঘাত হানে ভারত। শেষ পর্যন্ত গত শনিবার ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। আসলে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে লাগাতার পিছিয়ে পড়ছিল পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই সন্ধিপ্রস্তাব করে শাহবাজ শরিফ সরকার পিছু হটেছে।