সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুদের চারটি পবিত্র তীর্থস্থান বদ্রীনাথ, দ্বারকা, পুরী ও রামেশ্বরম। যা চারধাম নামে পরিচিত। জগন্নাথদেবের কথা উঠলে মাথায় আসে পুরীর র নাম। যুগ-যুগ ধরে বিস্ময়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে এই মন্দির। প্রভুর আর্শীবাদ নিতে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার বছর ভক্তের সমাগম ঘটে। বুধবার পশ্চিমবঙ্গে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। তবে জানেন কি জগন্নাথ মন্দির মানেই শুধু পুরী নয়! অবশ্যই উৎকল রাজ্যের মন্দির এক ও অদ্বিতীয়। তবে বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে জগন্নাথের মন্দির।
শ্রী জগন্নাথ মন্দির হায়দরাবাদ:
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অনুকরণে হায়দরাবাদের বানজারা হিল রোডের ধারে গড়ে উঠেছে এই জগন্নাথ মন্দির। ২০০৯ সালে তৈরি হয় এই মন্দির। পুরীর মন্দিরের অনুকরণেই মন্দির তৈরি করেন হায়দরাবাদের বসবাসকারী ওড়িয়া কমিউনিটি। প্রতিবছর নিয়ম মেনেই রথযাত্রা হয়। সেক্ষেত্রে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিয়ম মানা হয়। নিত্যপুজোর ক্ষেত্রেও পুরীর মন্দিরেই নিয়ম মানা হয় এখানে। মন্দিরে জগন্নাথদেবের সঙ্গে লক্ষ্মী, শিব, গণেশ, হনুমানের মূর্তি রয়েছে। এই মন্দিরের জন্য কলিঙ্গ কালচার ট্রাস্ট নামে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারাই মন্দির পরিচালনা করে।
জগন্নাথ মন্দির আহমেদাবাদ:
আহমেদাবাদে জগন্নাথদেবের মন্দির গড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে অলৌলিক ইতিহাস। কথিত, হনুমান দাসজি নামে এক ব্যক্তি হঠাৎ আহমেদাবাদে আসেন। স্থানীয় এক জঙ্গলে তিনি আশ্রয় নেন। পরে তিনি রামভক্ত হনুমানের পুজো শুরু করেন। হনুমান দাসজি ওই অঞ্চলে থাকাকালীন নানান অলৌলিক কাণ্ড ঘটে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। গড়ে ওঠে মন্দির। তবে তা জগন্নাথ মন্দির নয়। হনুমান দাসজির পরে ওই মন্দিরের দায়িত্ব নেন সাধু সারঙ্গ দাসজি। তিনি আবার জগন্নাথদেবের ভক্ত ছিলেন। কথিত, ওই মন্দিরের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি জগন্নাথদেবের স্বপ্নাদেশ পান। তারপরই জগন্নাথ দেবের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু হয়। এইভাবেই হনুমান মন্দির জগন্নাথ মন্দিরের রূপ পায়।
জগন্নাথ মন্দির বেঙ্গালুরু:
এই জগন্নাথ মন্দিরটি বেঙ্গালুরুর আগারার সারজাপুর রোডে তৈরি হয়েছে। এখানে পুরীর মন্দিরের নিয়মানুযায়ী জগন্নাথদেবের পুজো করা হয়। রথযাত্রার সময় এখানে পনেরো হাজারেরও বেশি ভক্তের সমাগম হয়। মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেঙ্গালুরুর শ্রী জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। তারাই দেখভাল করে। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার সঙ্গে প্রায় চার মিটার নৃসিংহ এবং তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদের একটি মূর্তিও রয়েছে।
শ্রী জগন্নাথ মন্দির দিল্লি:
দিল্লির জগন্নাথ মন্দির নয়া দিল্লির অন্যতম বিখ্যাত তীর্থস্থান। মন্দিরটি ওড়িশার পুরীর বিশ্বখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিরূপ। এই উপাসনালয়ে ওড়িশার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। দিল্লিতে বসবাসকারী ওড়িয়া সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে সুপরিচিত।
জগন্নাথ মন্দির রাঁচি:
বরকগড়ের রাজা আনি নাথ শাহদেও ১৬৯১ সালে এই জগন্নাথ মন্দিরটি তৈরি করেন। মন্দিরটির কারুকার্য চোখ টানার মতো। উচ্চতাও অনেক। যা সবার চোখ টানে। জগন্নাথ মন্দির রাঁচির অন্যতম বিখ্যাত মন্দির। এই মন্দিরে যাওয়ার জন্য দু’টি রাস্তা রয়েছে একটি পথ দিয়ে হেঁটে সিঁড়ি দিয়ে যাওয়া যায়। অন্য পথ দিয়ে গাড়ি করেও যাওয়া যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন