সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগন্নাথের প্রসাদ বলে কথা। সে তো মানুষের কাছে যাবেই। কিন্তু সেই প্রসাদ হাতে করে যদি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া যায়! প্রসাদ ছোঁয়াও কম পুণ্যের নয়। তাতে মহাপ্রভুর মাহাত্ম্য প্রচারও হবে, জনসংযোগও হবে। তাই সেই প্রসাদী মিষ্টি রেশন ডিলারদের থেকে নিয়ে নিজেরা বিলি করতে চেয়ে আবেদন জমা পড়ছে একাধিক পুরসভার তরফে। পুর কর্তৃপক্ষ চায়, এলাকায় পুরসভার প্রতিনিধি হিসাবে নানা দপ্তরের মহিলাদের সামনে রেখে মহিলা কাউন্সিলররাই সেই প্রসাদ বিলি করবেন বাড়ি বাড়ি। অনেক ক্ষেত্রে পুর কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে সরকারি নিয়ম মেনে রেশন দোকান থেকেই প্রসাদ বিলি হবে। সেই প্রসাদ বিলির সময় কাউন্সিলররা থাকবেন।
খাদ্যদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কবে কবে দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিলি হবে। সাধারণ দিনগুলিতে প্রসাদ দেওয়া হবে ‘দুয়ারে রেশন’ পদ্ধতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। অন্য যে দিনগুলিতে রেশন দোকান বন্ধ থাকে যেমন মাসের প্রথম ও শেষ দিন, রবিবার অর্ধদিবস ও সোমবার পূর্ণদিবস, সেই দিনগুলিতে রেশন দেওয়া না হলেও রেশন দোকান থেকে প্রসাদ বিলি হবে। দিনগুলি হল ২৩ জুন, ৩০ জুন ও ১ জুলাই। ২৭ জুন রথযাত্রার দিন আবার প্রসাদ বা রেশন সামগ্রী বিলির সমগ্র পরিষেবাই বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। ওই দিন ‘রথযাত্রা উৎসব’ উপলক্ষে সরকারি ছুটি।
এরই মধ্যে নিজ দায়িত্বে প্রসাদ বিলি করতে চেয়ে বারাকপুর পুরসভা ও উত্তর দমদম পুরসভার তরফে রেশন ডিলারদের সংগঠনের কাছে ভোগের ক্ষীর ও মিষ্টির প্যাকেট চেয়ে আবেদন করেছেন কাউন্সিলররা। রেশন ডিলারদের সংগঠন ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানাচ্ছেন, তেমন হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তাঁর কথায়, “ভোগের প্রসাদ মানুষের হাতে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে কথা। সে যদি কাউন্সিলররা দিতে চান দেবেন।”
সেক্ষেত্রে প্রসাদী প্যাকেট রেশন দোকান থেকে সই করে তুলে নিয়ে কাউন্সিলররা নিজেদের মতো করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিলি করবেন। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাসের সাফ কথা, “সরকারি যা নিয়ম সেভাবেই বিলি হবে। তবে কাউন্সিলররা চাইলে সেই প্রসাদ বিলির সময় থাকতেই পারেন।” বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস আবার চান রেশন দোকানের বদলে সবটাই তাঁর পুর এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বিলি করুন। তিনি বলছেন, “মানুষের কাছে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন এলাকার মহিলা কাউন্সিলররা। শোভাযাত্রা করে সেই প্রসাদ যাবে বাড়ি বাড়ি। থাকবেন এলাকার মহিলারাও। মহাপ্রভুর প্রসাদ সকলে মিলে ভাগ করে নেওয়া হবে।”