অর্ণব দাস, বারাকপুর: তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুনে অভিযুক্তের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। ঠিক যে জায়গায় তৃণমূল কর্মীর দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেই তল্লাটেই এই অভিযুক্তের মৃতদেহ মিলেছে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল এলাকায়। ওই যুবকের নাম সাহেব। দিন কয়েক আগে তৃণমূল কর্মী ইশতিয়াক কুরেশীর মৃতদেহ হয়েছিল বাসুদেবপুর থানা লাগোয়া কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া উচ্ছেগড়ের একটি কালভার্টের নিচ থেকে। খুনের বদলা খুন? সেই প্রশ্ন উঠেছে। জগদ্দলের রাহুতা এলাকার একটি খাল থেকে সাহেবের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের লোকজন মৃতদেহ শনাক্ত করেছে।
দিন সাতেক আগে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া এলাকায় ইশতিয়াক কুরেশীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে রশিদ কলিম ও ঝন্টু মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করে জগদ্দল থানার পুলিশ। সাহেবের খোঁজ চলতে থাকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ইশতিয়াকের মৃতদেহ লোপাটের সময় সাহেব জলে ডুবে যায়। এরপরই পুলিশ ওই এলাকায় যায়। জল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ধৃতরা কি সত্য কথা বলছেন? নাকি ওই যুবককে খুন করা হয়েছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। মৃতদেহ পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল কিনা বোঝা যায়নি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি(নর্থ) গণেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।