সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ঘর আলো করে এসেছে কৃষভি। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত নতুন বাবা-মা। তাকে ঘিরেই দিনযাপন দু’জনের। সেই ছোট্ট কৃষভিকে দেখতে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়িতে ঋতুপর্ণা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে অঙ্কনও।
ঋতুপর্ণা ও তাঁর ছেলে অঙ্কনের ব্যবহারে আপ্লুত শ্রীময়ী। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তা জানান অভিনেত্রী। লম্বা পোস্টে তিনি জানান, “ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছি, শুধু লেখার জন্য লিখিনি। মন থেকে যা উপলব্ধি করেছি সেটাই ব্যক্ত করেছি,কারণ আমরা তো এখন মানুষের ভালো জিনিস, মানুষের ভালো গুণ,মানুষের ভালো কাজ নিয়ে কথা বলতে ভুলে গেছি কিভাবে লোকের খুঁত বের করা যায়,ছোট করা যায় কিভাবে লোকের সাথে অসভ্য আচরণ করা যায়,এটাই আমাদের বেশি লক্ষ্য,অথচ সবাই সেটা করে না অ্যাকচুয়ালি যাদের কোন কাজ নেই তারাই এটা করেন,যাকগে প্রসঙ্গে আসি ঋতুদি, ঋতুদির সাথে আমি একজন নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে, দিদির মত করে যতই আড্ডা মারি, আড্ডা যেন কম পড়ছে, তার শিক্ষা, তার সহবত, তার জীবন দর্শন, তার অভিজ্ঞতাকে আমি কুর্নিশ জানায়,কাল যখন ঋতু দি এলো আমাদের বাড়িতে,আমি খুব খুব খুব আনন্দিত হয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের কাছে আরও বেশি উপরি পাওনা হলো ঋতুদির ছেলে,কারণ আমি তো এই জেনারেশনের ,আর ঋতুদির ছেলে আমার ভ্রাতৃসম, আমি ওকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম যে ছেলেটির বড় হওয়া,পড়াশোনা ,সংস্কৃতি সবটাই বিদেশ থেকে, এখন এসেছে মায়ের কাছে দেশে,তুমি চাও বা না চাও ,তুমি অস্বীকার করতে পারবে না that he’s a starkid, শুধুমাত্র একজন সেলিব্রিটির সন্তান সে নয়, একজন সুপারস্টার ব্লকবাস্টার, যার ঝুলিতে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড আছে, এরকম একজন অভিনেত্রীর সন্তান,এখানে তার ব্যবহার,তার কথাবার্তা, তার humorousness is just too good,and likewise he is an effective author,সর্বোপরি মা ও ছেলের সাথে কি মিষ্টি সম্পর্ক হতে পারে,সেটা নিজের চোখে না দেখলে আমরা বিশ্বাসই করতাম না।”
শ্রীময়ী আরও লেখেন, “এই জন্যই কথায় আছে গাছ যদি ভাল হয় ফল ভালো হতে বাধ্য,সেটাই প্রমাণ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং তার সন্তান। আমরা যতই বড় বড় কথা বলি, কিন্তু শিক্ষা,পড়াশোনা ম্যাটার করে ভালো মানসিকতার মানুষ তৈরি হতে। শুধু আমি নই আমার মা,বাবা তারা তো কখনো ভাবেওনি যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে এত কাছ থেকে দেখবেন এবং দেখার পর তাদের যা উপলব্ধি হল তারাও এখনো আপ্লুত,আড্ডাটা কালকে রাত তিনটেই শেষ হয়ে গেছে ,এখনো শুধুই তাদেরকে নিয়ে গল্প হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছে আমার ছোট্ট কৃষভি ঋতুদির কোলে উঠে,তার জীবনের এই ছবিটা স্মৃতি হয়ে থাকবে,ও যখন বড় হবে, বুঝতে শিখবে, ছবিটা দেখে খুব আনন্দ পাবে। আমি চাই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মত অভিনেত্রী আরো অনেক অনেক অনেক সিনেমা আমাদেরকে উপহার দিক, জানিনা অনেকে জানেন কিনা ঋতু দি অসাধারণ লেখেন।Rituparna Sengupta is an inspiration in my life as a girl, a daughter, a spouse, a Daughter-in-law, a mom, a celebrity, a social employee, a author, a producer,,Love you a lot Ritu Di।” পোস্টের শেষে ‘লাভ’ ইমোজিও দেন শ্রীময়ী।
মোট ১৪টি ছবি শেয়ার করেন শ্রীময়ী। অভিনেত্রীকে লাল রঙের টি-শার্ট এবং শর্টস। এছাড়া শ্রীময়ীর বাবা-মা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দেখা গিয়েছে। তবে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে কৃষভি। হলুদ রঙের ফ্রক এবং ছোট্ট পায়ে নূপুর। অনুরাগীরা ভেবেছিলেন এবার হয়তো ছোট্ট কৃষভির মুখ দেখা যাবে। তবে তার মুখ এবারও ইমোজিতে ঢাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন