ছেলেদের সঙ্গে মেশা পছন্দ ছিল না বাবার! রক্ষণশীলতা থেকেই মেয়েকে খুন, বিস্ফোরক রাধিকার বান্ধবী

ছেলেদের সঙ্গে মেশা পছন্দ ছিল না বাবার! রক্ষণশীলতা থেকেই মেয়েকে খুন, বিস্ফোরক রাধিকার বান্ধবী

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাধিকা যাদবের খুনের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন তাঁর প্রিয় বান্ধবী। রাজ্যস্তরের প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড় রাধিকাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর বাবাকে। কিন্তু কেন নিজের সন্তানকে খুনে অভিযুক্ত বাবা? জানা গিয়েছে, মেয়ের রিল তৈরির আসক্তির প্রতি বিরক্ত ছিল বাবা। সেই বিরক্তি থেকেই মেয়েকে তিনি খুন করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে নিহত রাধিকার প্রিয় বান্ধবী হিমাংশিকা সিং দাবি করছেন, সমস্যার শিকড় আরও গভীরে। বাড়িতে রাধিকার সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হত তাতে তাঁর রীতিমতো দমবন্ধ অনুভূতি হত।

২০১২ সাল থেকে রাধিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব হিমাংশিকার। তাঁর দাবি, তিনি বহুদিন ধরেই দেখে এসেছেন, মেয়ের শর্টস পরা কিংবা ছেলেদের সঙ্গে কথা বলা- বলতে গেলে নিজের মতো করে জীবন কাটাতে চাওয়াই নাপসন্দ ছিল রাধিকার পরিবারের। আর সেই কারণেই তাঁকে সব সময় চোখে চোখে রাখার চেষ্টা হত। তাঁর বাইরে যাওয়া, বাড়ি ফেরা সবই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইতেন রাধিকার বাবা। একটি ভিডিও প্রকাশ করে এই দাবি করেছেন ওই তরুণী।

তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”ও যখন ভিডিও কলে আমাকে ফোন করত, তখনও মা-বাবাকে দেখাতে হত কার সঙ্গে কথা বলছে। এমনকী, টেনিস অ্যাকাডেমি ওর বাড়ি থেকে মিনিট পনেরোর দূরত্বে অবস্থিত হলেও বাড়ি থেকে বলা থাকত ক’টার মধ্যে ঢুকতে হবে। রাধিকার পরিবার ছিল অত্যন্ত গোঁড়া। প্রায় সব কিছু নিয়েই ওদের সমস্যা ছিল। শর্টস পরার জন্যও ওকে কথা শুনতে হত। ছেলেদের সঙ্গে কথা বলার জন্যও। সোজা কথায় নিজের শর্তে জীবন কাটানোর জন্য ওকে বারবার শাসনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ওর রক্ষণশীল পরিবার সব সময় ভেবে যেতে লোকে কী বলবে। আর এই সবের মধ্যে রাধিকার রীতিমতো দমবন্ধ অনুভূতি হত।”

অভিযোগ, মেয়েকে গুলিতে ফুঁড়ে দিয়েছিলেন বাবা। মেয়েকে লক্ষ্য করে তিনি পরপর পাঁচটি গুলি চালিয়েছিলেন বলেই দাবি। যার মধ্যে রাধিকার শরীরে লেগেছিল তিনটি। প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন রাধিকা যাদব। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের ক্রমতালিকায় তিনি ছিলেন ১১৩ নম্বরে। সম্প্রতি ডবলসে তিনি শীর্ষ ২০০-র মধ্যে ছিলেন। পুলিশ রাধিকার বাবার পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। শোনা যাচ্ছিল, প্রতিবেশীরা কী বলবে সারাক্ষণ এই নিয়ে টেনশন থেকেই এই হত্যাকাণ্ড। কিন্তু এবার তাঁরই প্রিয় বান্ধবী দাবি করলেন, সমস্যার শিকড় কেবল এইটুকুতেই আবদ্ধ নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *