ছাদ হারানোর আশঙ্কা! বিপদ জেনেও এলাকা ছাড়তে নারাজ বেলগাছিয়ার বাসিন্দারা

ছাদ হারানোর আশঙ্কা! বিপদ জেনেও এলাকা ছাড়তে নারাজ বেলগাছিয়ার বাসিন্দারা

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলযন্ত্রণা দূর হয়েছে। তবে বাড়িতে ক্রমশ বাড়ছে ফাটল। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপদের আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে নারাজ হাওড়ার বেলগাছিয়ার বাসিন্দারা। সোমবার সকাল থেকে এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পুনর্বাসনের দাবিতে সরব তাঁরা। সূত্রের খবর, আজই ওই এলাকায় যেতে পারেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সোমবার সকালে বেলগাছিয়ায় পৌঁছন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। মাটি পরীক্ষা করা হবে ভাগাড়ের। ফলাফল সন্তোষজনক হলে বায়ো মাইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে জঞ্জাল সরানোর কাজ শুরু হবে। সে কারণে সকাল থেকে এলাকায় চলছে মাইকিং। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আপাতত স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এলাকারই একটি ক্লাবে বসবাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদিও এই প্রস্তাবে নারাজ স্থানীয়রা। সকাল থেকে মহিলারা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। “প্রাণ থাকতে বাড়ি ছাড়বেন না”, বলে দাবি অনেকের। তাঁদের আশঙ্কা, ভাগাড় পরিষ্কারের নামে বাড়ি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। আর কোনওদিন স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন না তাঁরা। সে কারণেই বিপদে আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বাড়ি ছেড়ে যেতে নারাজ বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বহু কষ্টে লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। ভেঙে গেলে কোথায় যাবেন? পুনর্বাসনের দাবিও জানিয়েছেন বসবাসকারীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ, হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে ধস নামে। খুব অল্প সময়ে ধস ভয়াবহ রূপ নেয়। পরবর্তীতে ফেটে যায় শিবপুর ও উত্তর হাওড়া কেন্দ্রের জল সরবরাহের মূল পাইপলাইন। চরম সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। উত্তর হাওড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় জল সরবরাহ। এরপর পাশে দাঁড়ায় কলকাতা ও উত্তরপাড়া পুরসভা। ‘নির্জলা’ হাওড়ায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়। এসবের মাঝেই ওই ভাগাড় সংলগ্ন এলাকায় প্রায় দেড় বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। একাধিক বাড়িতেও ফাটল নজরে পড়ে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো শনিবার বিকেল থেকে নতুন সমস্যা দেখা যায়।

জানা যায়, মাটি থেকে বেরচ্ছে মিথেন গ্যাস। পাশেই গঙ্গা, ফলে নদীর জলে মিথেন গ্যাস মেশার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যা দুশ্চিন্তা কয়েকগুণ বাড়ায়। এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে মেরামতির কাজ। শনিবারই শিবপুর-সহ হাওড়ার একাংশে জল সরাবরাহ শুরু হয়। তবে উত্তর হাওড়ার ১৪ টি ওয়ার্ডে মিলছিল না জল। কেএমডিএ ও হাওড়া পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের চেষ্টায় মেরামতির যাবতীয় কাজ শেষ হয় রবিবার। প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধেয় গোটা হাওড়ায় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *