বিধান নস্কর, সল্টলেক: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ। এসএফআইয়ের বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে সল্টলেকে ধুন্ধুমার। যার ফলে বিকাশ ভবন লাগোয়া পথে যানচলাচল ব্যাহত হয়। ভোগান্তির শিকার হন যাতায়াতকারীরা।
সুপ্রিম কোর্টের কলমের এক আঁচড়ে চাকরি হারিয়েছেন অন্তত ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। এসএফআইয়ের দাবি, ওই রায়ের পর থেকে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে রাজ্যে। সরকারি স্কুলগুলি শিক্ষকের অভাবে ভুগছে। তাই অবিলম্বে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। স্কুল ও কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এমনই একাধিক দাবিতে করুণাময়ীতে জমায়েত হন এসএফআইয়ের সদস্যরা। বিকাশ ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। তবে বিধাননগর থানার পুলিশের দাবি, অনুমতি না নিয়ে এই কর্মসূচি করে তারা। পুলিশ তাতে বাধা দেয়। আর তারপরই তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এসএফআই। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বছর ছয় আগে, গত ২০১৭ সালে শেষবারের মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। এরপর বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি কলেজে ভোট হলেও সামগ্রিকভাবে কিছু হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও একাধিকবার বলেছিলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে উদ্যোগী তাঁরা। পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচন করানো হবে। তবে তা সত্ত্বেও হয়নি নির্বাচন। তাই আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তার আগে গত মার্চে রাজ্যের কাছে এই বিষয়ে হলফনামা চেয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সময় ২ সপ্তাহের ডেডলাইনও বেঁধে দেয় আদালত।