ছাত্রীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ‌্যরক্ষায় নজর, গ্রামীণ হাওড়ার সব স্কুলে মিলবে ন‌্যাপকিন

ছাত্রীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ‌্যরক্ষায় নজর, গ্রামীণ হাওড়ার সব স্কুলে মিলবে ন‌্যাপকিন

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: গ্রামের স্কুলে বিলি হবে স‌্যানিটারি ন‌্যাপকিন। উদ্যোগ হাওড়া জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদের নিরিখে এমন উদ্যোগ ব‌্যতিক্রমীও বটে। ছাত্রীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ও সংক্রমণ রুখতে এবার থেকে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে নিয়মিতভাবে সরবরাহ করা হবে স্যানিটারি ন্যাপকিন। গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে যাতে নিয়মিত ও পর্যাপ্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন থাকে, সেজন্য তৎপর হাওড়া জেলা পরিষদ। নামমাত্র খরচে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করাবে জেলা পরিষদ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিই স্কুলগুলিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করবে।

স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির পর সেগুলি বিভিন্ন ব্লকে থাকা সংঘের মাধ্যমে স্কুলগুলিতে সরবরাহ করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এজন্য সংঘগুলিকে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট প্রদান করবে হাওড়া জেলা পরিষদ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রোজগার বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বেশ কিছু স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই পর্যাপ্ত ন্যাপকিন সরবরাহের অভাবে সেগুলো ফাঁকাই থেকে যায়। তাই বাইরে থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে হয়। এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের রোজগার বাড়াতে তাদের দিয়েই ন্যাপকিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ।

পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে দুটি সংঘকে ইতিপূর্বে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন, ইনসিনেরেটর এবং ন্যাপকিন তৈরির জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট দেওয়া হয়েছিল। সেই সংঘের অধীনে থাকা একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা খুব কম খরচে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করেছেন। আবার অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরা বিভিন্ন স্কুলে সেগুলি সরবরাহ করেছে। এর ফলে গোষ্ঠীর আয় বেড়েছে। সেই সাফল্যের পর এবার জেলার মোট ১৫৭টি সংঘকেই স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে স্বনির্ভর করতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। এজন্য একেকটি সংঘ পিছু খরচ পড়বে ৪০ হাজার টাকা করে।

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তাপস মাইতি বলেন, “এই কাজ সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। এতে লাভবান হবে স্কুলের ছাত্রীরা।” জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৭৪টি সংঘকে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবহৃত ন্যাপকিন নষ্ট করার জন্য ইনসিনেরেটর না থাকায় এবার সংঘগুলোকে সেই যন্ত্রও দেওয়া হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *