নিউজিল্যান্ড:৩৬২/৬ (রাচীন ১০৮, উইলিয়ামসন ১০২, এনগিডি ৩/৭২)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩১২/৯ (মিলার ১০০*, ভ্যান ডার ডুসেন ৬৯, স্যান্টনার ৩/৪৩)
৫০ রানে জয়ী নিউজিল্যান্ড।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজির গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। রানের পাহাড় গড়ে প্রথমেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিয়েছিল কিউয়ি ব্রিগেড। কেন উইলিয়ামসন এবং রাচীন রবীন্দ্রর জোড়া সেঞ্চুরির ধাক্কা আর সামলাতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মিলার মরিয়া চেষ্টা করলেও ফাইনালের টিকিট মিলল না প্রোটিয়াদের ভাগ্যে।
চিরকালের চোকার্স। একটার পর একটা আইসিসি টুর্নামেন্ট যায়, আর এই শব্দবন্ধ বসে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার নামের সঙ্গে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-২০ বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-গত দেড় বছরে প্রত্যেকটা টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়েছে প্রোটিয়া ব্রিগেড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে ভেঙে পড়েছে গোটা দল। ট্রফি জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছে। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বুধবারের লাহোরেও।
এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। পাওয়ার প্লে চলাকালীনই আউট হয়ে যান ফর্মে থাকা ওপেনার উইল ইয়ং। কিন্তু দলের ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন রাচীন এবং উইলিয়ামসন। ১৬৪ রানের জুটি গড়ে বড় রানের ভিত গড়েন। শেষ পর্যন্ত দুজনের ব্যাট থেকেই আসে সেঞ্চুরি। ওপেন করতে নেমে রাচীনের সেঞ্চুরি এল ৯৩ বলে। তবে ১০১ বলে ১০৮ রান করে আউট হন তিনি। উইলিয়ামসন বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাত্র ৯১ বলে। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩৬২ রানে থামল কিউয়ি ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটাই এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর।
৩৬৩ রানের পাহাড় তাড়া করতে হলেও ইনিংসের শুরুতে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে না পেরে কার্যত উইকেট ছুড়ে দেন। ৭১ বলে মাত্র ৫৬ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন টেম্বা বাভুমা। ৬৯ রান আসে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ব্যাট থেকে। এছাড়া ব্যাটিং লাইন আপের সকলেই ব্যর্থ। টেলএন্ডারদের সঙ্গী করে একটা মরিয়া লড়াই চালিয়েছিলেন মিলার, তবে ততক্ষণে ম্যাচ হাতের বাইরে। ম্যাচের শেষ বলে সেঞ্চুরি করলেন মিলার। কিন্তু শেষ চারের যুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুরমুশ করে ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। খেতাবি লড়াইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নামবেন স্যান্টনাররা।