চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মার! হরিয়ানায় বাঙালি ‘হেনস্তা’য় ফুঁসছে তৃণমূল, পালটা বিজেপির

চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মার! হরিয়ানায় বাঙালি ‘হেনস্তা’য় ফুঁসছে তৃণমূল, পালটা বিজেপির

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


বিক্রম রায়, কোচবিহার: ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগ। এবার শিরোনামে হরিয়ানার গুরুগ্রাম। অমানবিকভাবে বাংলাভাষীদের মারধর করে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতীম রায়। পালটা অনুপ্রবেশ তত্ত্বে অনড় বিজেপি।

বাংলার মানুষ গুরুগ্রামে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন। পার্থপ্রতীম রায়ের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় বাংলাভাষীদের আটকানো হয়। মারধর করে গাড়িতে করে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। সেই ভিডিও পাওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। বাংলাভাষীদের হেনস্তার অভিযোগ তিনি সর্বত্র জানিয়েছেন। ওই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন তিনি।

আর তারপরই শুরু জোর রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বিজেপি শাসিত রাজ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাভাষীদের হেনস্তার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের আমলে রেকর্ড হারে অনুপ্রবেশ হয়েছে। তারা খুব সহজেই আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি অতি সত্ত্বর অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে দেশে পাঠানো হোক। ভারতীয়দের সসম্মানে থাকার ব্যবস্থা করা হোক। তাঁদের দেশের যেকোনও প্রান্তে থাকা ও যাতায়াতের অধিকার আছে।”

উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দুর্গাপুরের সভামঞ্চ থেকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে বা যারা অনুপ্রবেশ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নেবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *