সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসসিও বৈঠকের মঞ্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। এই ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব স্বস্তি পাননি তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার। মোদির সঙ্গে সম্পর্ক শুধরানোর ইঙ্গিত দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার জানা গেল অক্টোবরেই দক্ষিণ কোরিয়ায় তিনি বৈঠক করতে পারেন জিনপিংয়ের সঙ্গে।
আগামী মাসেই দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েংজুতে আয়োজিত হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনোমিক কোঅপারেশন তথা অ্যাপেক সম্মেলন। আর তাতে যোগ দিতে সেখানে আসবেন ট্রাম্প-জিনপিং। সম্মেলনের ফাঁকেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হতে পারেন দুই রাষ্ট্রনায়ক, তেমনটাই শোনা যাচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে পাকাপাকি কিছু বলা হয়নি। গত মাসেই ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল জিনপিংয়ের। সেই সময়ই সস্ত্রীক ট্রাম্পকে চিনে আসার আমন্ত্রণ জানান চিনের প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প কথাও দেন বেজিং সফরে যাওয়ার। তবে কোনও তারিখ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এর মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়াতেই তাঁদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা তৈরি হল।
এদিকে গতকাল, শনিবারই ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন মোদির সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের। ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে যে ভারত ও রাশিয়া আরও কাছাকাছি চলে আসছে, সেটা বুঝতে পারছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিনের সঙ্গেও নয়াদিল্লির সখ্য তৈরি হলে আখেরে যে আমেরিকাই চাপে পড়বে সেটাও তাঁর অজানা নয়।
এহেন অবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিজের বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, “মোদি আমার খুবই ভালো বন্ধু। কয়েক মাস আগে তিনি এখানে এসেছিলেন। আমরা রোজ গার্ডেনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলাম। আমার সঙ্গে সবসময় মোদির বন্ধুত্ব থাকবে। উনি খুব বড় প্রধানমন্ত্রী। আমি সব সময় বন্ধু থাকব।” কিন্তু রাশিয়ার থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিজের হতাশার কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “এখন তিনি যা করছেন, সেটা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্ব গভীর। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।”