‘চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে জোটে নেই’, ভারতের সঙ্গে কূটনীতিতে ভারসাম্য় রক্ষা করছে ইউনুস সরকার?

‘চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে জোটে নেই’, ভারতের সঙ্গে কূটনীতিতে ভারসাম্য় রক্ষা করছে ইউনুস সরকার?

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনার পতনের পর অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে বাংলাদেশে। পালটে গিয়েছে কূটনৈতিক নীতিও। পদ্মাপাড়ে এখন ভারত বিরোধিতার হাওয়া। এই সুযোগে এখন ঢাকায় প্রভাব বিস্তার করছে চিন। ‘ভারতবন্ধু’র সংজ্ঞা বদলে পাকপ্রেমে মজে মহম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই প্রথমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসে চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। বেজিং জানায়, দুই দেশকে নিয়ে জোট গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এই দাবি নস্য়াৎ করে দিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না।” প্রশ্ন উঠছে, ভারত সঙ্গে কূটনীতিতে ভারসাম্য় রক্ষা করছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার?

সূত্রের খবর, ব্যবসা, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, জলসম্পদ-সহ নানা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে নতুন ত্রিপক্ষীয় জোট তৈরি করেছে চিন। গত ১৯ জুন ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে এই জোটের প্রথম আলোচনা হয়। যোগ দেন তিন দেশের বিদেশসচিব। এরপর বেজিং ও ইসলামাবাদ যৌথভাবে বিবৃতি দেয়। জানানো হয়, চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একাধিক ক্ষেত্রে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। এই জট কোনও তৃতীয়পক্ষের বিরুদ্ধে পরিচালিত নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এনিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদকে। জবাবে তিনি বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না। মূলত উদ্যোগটি চিনের। এটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায় রয়েছে।”

ভারতকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এই বৈঠক করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তৌহিদ বলেন, “ওই বৈঠকটি কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে অনুষ্ঠিত হয়নি। আমি আপনাদেরক আশ্বস্ত করতে পারি।” ঢাকা কোনও কিছু প্রত্যাখ্যান করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কোনও কিছু অস্বীকার করার দরকার নেই। এটা বড় কোনও ব্য়াপার নয়। এবং কাঠামোগতও কিছু নয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও এই ধরনের আলোচনার বিষয়ে ঢাকার কোনও আপত্তি নেই। ভারত যদি বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে এমন বৈঠক করতে চায়, তাহলে ঢাকা পরেরদিনও বৈঠক করতে আগ্রহী।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এখন পুনর্বিন্যাসের পর্যায়ে রয়েছে এবং ঢাকার পক্ষ থেকে সেই লক্ষ্যে সদিচ্ছার কোনও অভাব নেই। আমরা সত্যিটা স্বীকার করি। ভারত এবং পূর্ববর্তী সরকারের মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক ছিল আমাদের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক সেই ধরনের নয়।”

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মুখে বাংলাদেশ যাই বলুক না কেন পর্দার আড়ালে চিনের সঙ্গে তার জোট রয়েছে। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার) ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। এই একই ইচ্ছা চিনেরও। এদিকে, নিজেদের স্বার্থেই ভারতকে চটাতে চায় না ঢাকা। তাই ভারত সঙ্গে কূটনীতিতে ভারসাম্য় রক্ষা করছে ইউনুস সরকার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *