চিনের পিঠে চেপে চাঁদে যাবে পাকিস্তান! মহাকাশেও পরাশ্রয়ী ইসলামাবাদ

চিনের পিঠে চেপে চাঁদে যাবে পাকিস্তান! মহাকাশেও পরাশ্রয়ী ইসলামাবাদ

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৩৫ সালে চাঁদে যাবে পাকিস্তান। তার আগে প্রথম পাক মহাকাশচারীকে ২০২৬ সালেই চিনের স্পেস স্টেশনে পাঠানোরও পরিকল্পনা করেছে ইসলামাবাদ। কিন্তু এসবই আসলে পরস্মৈপদী। অর্থাৎ চিনের ঘাড়ে ভর দিয়েই মহাকাশ অভিযান করতে চায় প্রতিবেশী দেশটি। কেননা পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সুপারকো এখনও পর্যন্ত স্বাবলম্বী হয়ে কোনও উপগ্রহই পাঠাতে পারেনি। সুতরাং, নিজেদের ক্ষমতায় যে তা সম্ভব নয়, তা ভালোই জানে পাকিস্তান।

এমনিতেই পরমাণু গবেষণা থেকে প্রযুক্তি- সবেতেই চিনই পাকিস্তানের ভরসা। এবার তারা ‘মেড ইন চায়না’ হয়েই মহাকাশেও পৌঁছতে চায়। চিন সফরে গিয়েছেন পাক মন্ত্রী আহসান ইকবাল। সেখানে বেজিং প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরই সোমবার তিনি ঘোষণা করে দিয়েছেন, পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সুপারকোর কাঁধেই দায়িত্ব পুরো অভিযানটার পরিকল্পনা করার। কিন্তু প্রযুক্তিগত সব সাহায্যই করবে চিন। ইকবাল আবেগঘন ভাষণে লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। যদিও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, চিন ছাড়া এক পাও এগোতে পারবে না তাঁদের দেশ।

এপর্যন্ত মহাকাশে পাকিস্তান তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও চিনা সাহায্যেই তা সম্ভব হয়েছে। এমতাবস্থায় ২০৩৫ সালে চন্দ্রাভিযান ও ২০২৬ সালে পাক মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠানোর লক্ষ্য সামনে রেখে উচ্চাভিলাসী হয়ে উঠছে পাকিস্তান।

ভারত ইসরোকে সামনে রেখে মহাকাশে প্রতি মুহূর্তেই এগিয়ে চলেছে নতুনতর লক্ষ্যে। পড়শি দেশ পাকিস্তানের অবস্থা ততটাই শোচনীয়। ভেঙে পড়েছে সেদেশের অর্থনীতি। ভারতের চন্দ্রাভিযানের পর পাক সাংসদ সৈয়দ মোস্তফা কামাল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই বলেছিলেন, “গোটা বিশ্ব আজ চাঁদে চলে যাচ্ছে। অথচ আমাদের করাচির অবস্থা দেখুন। এখানে বহু শিশু আবর্জনার স্তূপে পড়ে প্রাণ হারায়। যে মুহূর্তে ভারত চাঁদের বুকে পা রেখেছিল তার ঠিক দু’সেকেন্ড পড়ে খবর এসেছিল আবর্জনার স্তূপে একটি শিশু মারা গিয়েছে। প্রতি তিনদিনে এই শিশুমৃত্যুর খবর আমাদের কাছে আসে।” এই পরিস্থিতিতে একগলা ঋণে ডুবে থাকা পাকিস্তান শেষপর্যন্ত ভারতের সঙ্গে টক্করের ব্যর্থ চেষ্টায় এবার চিনের পিঠে চেপেই চাঁদে যেতে চাইছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *