সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি বহুতল হোটেলে আগুন লাগার খবর সংগ্রহে গিয়ে হেনস্তার শিকার সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক ফারুক আলম। কেন ছবি তোলা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে মারধর করা হল ফারুককে। ওই হোটেলেরই মহিলা কর্মী ও জনা পাঁচেক কর্মী ফারুককে মারধর করে। কিল, চড়, ঘুষির পাশাপাশি তাঁর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে, ঘটনাস্থলে পৌঁছন বাগুইহাটি থানার আইসি অমিত মিত্র। পুলিশ ঘটনায় জড়িত কর্মী ও মহিলাকে থানায় নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ বাগুইহাটি থানা এলাকার চিনার পার্কে পিপল ট্রি নামে একটি হোটেলে আগুন লাগে। সেখানে পৌঁছন সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক ফারুক। রাস্তার পাশে বাইক রেখে ছবি তোলেন। সেই সময় কয়েকজন হোটেলকর্মী ফারুক ও অন্য সাংবাদমাধ্যমের এক কর্মীর দিকে তেড়ে আসেন। প্রশ্ন করেন, কেন ছবি তোলা হচ্ছে? ফারুক ও সেই সাংবাদিক নিজেদের পরিচয় জানিয়ে নিজেদের পরিচয়পত্র দেখান। তাতে কিছুটা পিছু হাঁটেন হোটেলকর্মীরা।
সেই সময় ওই হোটেলেরই এক মহিলা কর্মী সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক ফারুকের জামার কলার ধরেন। তা দেখে উৎসাহিত জনাপাঁচেক কর্মী এসে ফারুককে মারধর করেছেন। ফারুক জানান, “আমি পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে আসেন বাগুইহাটি থানার আইসি অমিত মিত্র। যাঁরা আমাকে হেনস্তা করেছেন তাদের মধ্যে তিনজনকে ধরে নিয়ে যান। যে ভদ্রমহিলা আমার জামার কলার ধরেন, তাকেও ধরে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। ততক্ষণে অন্য সংবাদমাধ্যমের আমার সহকর্মীরাও ঘটনাস্থলে চলে আসেন। অন্য সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন আমাকে মারধর করা হল? সেই সময়ও মহিলা বলতে থাকেন, চাপকে সোজা করে দেব। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।” অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মহিলা ও আরও দু’জন হোটেল কর্মীকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর আজিজুল হোসেন মণ্ডল। বিধায়ক ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়া তাঁদের গায়ে হাত তোলার তীব্র নিন্দা করছি আমি। পুলিশ দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।” অন্যদিকে, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন কর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন