চিকিৎসা না পেয়ে আর জি করে তিন ঘণ্টা পড়ে রোগী, কাঠগড়ায় জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্য

চিকিৎসা না পেয়ে আর জি করে তিন ঘণ্টা পড়ে রোগী, কাঠগড়ায় জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্য

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: টানা তিনঘণ্টা চিকিৎসা না পেয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ে থাকল রোগী। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে যাদের দিকে তারা জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্য। শুধু তাই নয়, এই রোগীর পরিবারকে দিয়ে জোর করে সাদা কাগজে মুচলেকা লেখানোর অভিযোগও উঠেছে বাম সমর্থক জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের বিরুদ্ধে।

বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে হাড়োয়া থানা থেকে ভাই সুজিত ঘোষকে নিয়ে আসেন দিদি গীতা ঘোষ। সূত্রের খবর, বাড়িতে অশান্তির জেরে বছর চল্লিশের সুজিত ঘোষ বিষ খেয়েছিলেন। বিকেল চারটে নাগাদ তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে এনে কার্ড করেন গীতাদেবী। বিকেল চারটেয় কার্ড করার পর সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত পড়ে ছিল রোগী। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। দেখা পাওয়া যায়নি কোনও ডাক্তারের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিউটি থাকাকালীন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি ডা. সিতীশ।

উল্লেখ্য গতবছর আগস্টে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর আবেগকে কাজে লাগিয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট। যার মধ্যে শামিল ছিলেন এই সীতিশও। সেসময় ফ্রন্টের সেই কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসা পাননি অগুনতি মানুষ। ফ্রন্টের সদস্যরা যে চূড়ান্ত কর্মবিমুখ, ফের তার প্রমাণ পাওয়া গেল বুধবার। রোগীর পরিবারের তরফে গীতা ঘোষ জানিয়েছেন, ‘টানা তিন ঘণ্টা চিকিৎসা না পেয়ে বেডে ছটফট করছিল আমার ভাই। শেষমেশ সাড়ে সাতটা নাগাদ চিকিৎসা শুরু হয়েছে।”

এদিকে দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই ফ্রন্টের সদস্যরা তা চাপা দিতে ময়দানে নামেন। রোগীর পরিবারকে বলা হয়, “সাদা কাগজে লিখে দিন যে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।” গীতা ঘোষ জানিয়েছেন, “আমি পড়াশোনা জানি না। আমায় কয়েকজন বলে আমরা বয়ান লিখে দিচ্ছি আপনি তাতে টিপছাপ দিয়ে দেবেন।” শুধু তাই নয়, ‘সময় নষ্ট’ লুকাতে পরে নতুন করে আউটডোর টিকিট ছাপানোর ব্যবস্থা করেন একদল ফ্রন্টের জন্য কয়েক সদস্য। এদিন ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেডিক্যাল অফিসার তাপস প্রামাণিকের ঘরে হুমকি দেন জেডিএফ সদস্য ডা. সীতিশ, ডা. রুবেল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *