চা শ্রমিকদের মজুরিতে বিলম্ব! রাজ্যসভায় TMC সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে স্বীকার করল কেন্দ্র

চা শ্রমিকদের মজুরিতে বিলম্ব! রাজ্যসভায় TMC সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে স্বীকার করল কেন্দ্র

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি দিতে বিলম্ব হচ্ছে। শুক্রবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা প্রশ্নের জবাবে তা স্বীকার করে নিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ এদিন স্বীকার করেছেন যে, কেন্দ্রের অধীনস্থ অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোম্পানির চা বিভাগের আর্থিক সংকটের কারণে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ বিলম্ব হয়েছে। তবে সংকট ঠিক কী? সেই মূল কারণের বিস্তারিত তথ্য এবং সেই সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে অপারগ হয়েছেন মন্ত্রী। বকেয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিতে মজুরি বিলম্ব একটি দীর্ঘকালীন সমস্যা, যেখানে বারংবার শ্রমিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নতর করার দাবি জানানো হয়েছে। চা বাগান শ্রমিকরা, যারা উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির মূল ভিত্তি, ধারাবাহিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলা এবং আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে তাঁরা এখনও দুর্দশাগ্রস্ত। এনিয়ে একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন। এমনকী চা শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ‘চা সুন্দরী’ সহ বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক পরিষেবাও রয়েছে।

শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভায় চা শ্রমিকদের দুর্দশার বিষয়টি উত্থাপন করেন। জানতে চান, চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি দিতে বিলম্ব হচ্ছে কেন? সাপ্তাহিক মজুরি কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কী? সেই কারণে বানারহাট, কারবালা, নিউ ডুয়ার্স এবং চুনাভুটি টি এস্টেটের শ্রমিকদের জীবন সমস্যা সংকুল হয়ে উঠেছে, তার বিস্তারিত তুলে ধরেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চারটি চা বাগান কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন অ্যান্ড্রু ইউলে অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় রয়েছে। কেন্দ্রের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীর কাছে ঋতব্রত জানতে চান, গত এক বছর ধরে শ্রমিকদের মজুরি কেন অনিয়মিতভাবে দেওয়া হচ্ছে? এই বিলম্বের কারণ কী এবং কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করছে এই বিষয়ে?

তাঁর এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ স্বীকার করে নেন, সত্যিই চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে। তার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, যে সংস্থার আওতায় এই চারটি বাগান রয়েছে অর্থাৎ সেই অ্যান্ড্রু ইউলে অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডে আর্থিক সংকট চলছে। তাই মজুরিতে দেরি হচ্ছে। তবে সমাধান নিয়ে কিছুই বলতে পারেননি মন্ত্রী। বরং অপারগতার কথা স্বীকার করে জানান, স্থায়ী সমাধানের কোনও পথ এখনও বের করা যায়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *