সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরেই ‘বন্ধু’দের সমর্থন চাইতে বিদেশ সফরে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তুরস্ক, ইরান, আজ়ারবাইজান ঘুরে তাজিকিস্তানে পৌঁছেছেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ‘নালিশ’ ঠোকেন যে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ভারত যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে শাহবাজের এই মন্তব্যে তাজিকিস্তানের তরফে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।
ভারতের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করার অভিসন্ধিতেই বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন শাহবাজ। চার দেশে এই সফরে তাঁর সঙ্গী হয়েছেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। শুক্রবার সকালে তাজিকিস্তানে পৌঁছন শাহবাজ। সেদেশের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাহমোনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে তুলে ধরেন অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গ। দুই দেশের ‘ভ্রাতৃত্ব’ আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে ভারত।’
এখানেই শেষ নয়। পাক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে ভারতের বিরুদ্ধে রীতিমতো নালিশ ঠুকেছেন শাহবাজ। দাবি করেন, গত ৭ মে-র পর থেকে ভারত ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অনৈতিক’ কার্যকলাপ করেছে। তার জেরে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। এছাড়াও তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে শাহবাজ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মানা উচিত। উল্লেখ্য, ভারতের তরফে বারবার জানানো হয়েছে যে কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানা হবে না।
শাহবাজের বিদেশ সফরের পর অবশ্য প্রশ্ন উঠছে, চার ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রে গিয়ে কতখানি ফায়দা তুলতে পারল পাকিস্তান? ইরানের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের নামে ‘নালিশ’ করলেও, সেদেশের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা সইদ আলি খামেনেই প্রকাশ্যে এই নিয়ে তেমন কিছু বলেনননি। কেবল জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর আশা, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটবে অচিরেই। গাজা ইস্যুতে পাকিস্তানকে ধন্যবাদ জানালেও ইসলামাবাদ-নয়াদিল্লি সংঘর্ষ নিয়ে ইরান কিন্তু সংযমী মন্তব্যই করেছে। তুরস্ক বা আজারবাইজানের তরফেও সেভাবে ভারতবিরোধী মন্তব্য করা হয়নি। নীরব থেকেছে তাজিকিস্তানও। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ‘বন্ধু’দের থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল শাহবাজকে?