সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন নিয়ে বিস্তর টালবাহানা হয়েছে। তা যে বিরোধীরা একেবারেই ভালোভাবে গ্রহণ করেননি, বরং ফুঁসে উঠে রীতিমতো আন্দোলনের পথে হাঁটতে চাইছেন, এতদিনে স্পষ্ট। এমনটা হলে আখেরে নিজেরই বিপদ বাড়বে, তা হয়ত এতক্ষণে টের পেয়ে গিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। চাপে পড়ে তাই নির্বাচন এগোনোর ভাবনা ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের সময় ইউনুস নাকি জানিয়েছেন, আগামী বছর জানুয়ারিতেই নির্বাচন হতে পারে। এর আগে ইউনুস ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হবে। আর বিরোধীদের জোরদার দাবি, ছাব্বিশ নয়, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে। তবে কি ধীরে ধীরে ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে আনছেন প্রধান উপদেষ্টা?
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ও প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের মধ্যে ফোনে ১৫ মিনিট কথা হয়েছে। ইউনুসের প্রেস উইং এই খবর নিশ্চিত করেছে। আমেরিকা বিদেশসচিবের দপ্তরের ওয়েবসাইটেও ওই কথোপকথনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, মার্কো রুবিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে কথা বলেছেন। দু’জনেই দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেইসঙ্গে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতেও জোর দিয়েছেন রুবিও-ইউনুস।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশে ফের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রার্থনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন নিরলস পরিশ্রম করছে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে, যা পূর্ববর্তী সরকার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছিল। আমাদের তরুণেরা এবার জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।” তাঁর কথায় ইঙ্গিত, জানুয়ারি মাসেও নির্বাচন হতে পারে। এই খবর জানার পর ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, এপ্রিল থেকে এগিয়ে জানুয়ারিতে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউনুস। তবে কি আরও চাপে পড়লে বিরোধীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ডিসেম্বেরই ভোট হবে বাংলাদেশে?